সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসি গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ২ সপ্তাহ এই মামলার শুনানি নয় সিঙ্গল বেঞ্চে। ২১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি ডিভিশন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। পাশাপাশি, গ্রুপ সি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের স্বার্থে গঠন করা হয়েছিল অনুসন্ধান কমিটি। ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার হাই কোর্টে ওই অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট পেশ করার ছিল। কিন্তু এদিন কমিটির তরফে কেউ যাননি বলেই খবর। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধান কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। পাশাপাশি, গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলার তদন্তের ভার ফের দেওয়া হয় সিবিআইকেই।
[আরও পড়ুন: ৩৫০ জনের নিয়োগ বাতিল, SSC গ্রুপ সি মামলায় বড়সড় পদক্ষেপ হাই কোর্টের]
কয়েকঘণ্টার মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এরপরই সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপ্রক্রিয়ায় ২ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২ সপ্তাহ এই মামলার শুনানি হবে না সিঙ্গল বেঞ্চে। শুধু তাই নয়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ও ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
উল্লেখ্য, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিষয়ে আগেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মধ্যশিক্ষাপর্ষদ এবং রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ৭ ফেব্রুয়ারি ও পরবর্তীতে ১৫ তারিখ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি জানিয়ে কমিটি আরও ৪ মাস সময় চায়। আদালত ৪ মাস নয়, ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার মাঝেই ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।