শুভঙ্কর বসু: ফের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে ধাক্কা। ইন্টারভিউয়ের তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জুলাই।
কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, পুজোর মধ্যেই প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে। সেই ঘোষণার পরই চলতি বছরের ২১ জুন উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,৩৩৯ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়। এরপরই ইন্টারভিউয়ের তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। মামলাকারীদের মূল অভিযোগ ছিল, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় মোট নম্বরের উল্লেখ নেই। তার ফলে বেশি নম্বর পাওয়া অনেক প্রার্থীর নামই তালিকায় নেই। অন্যদিকে কম নম্বর পাওয়া অনেকের নামই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই এসএসসি (SSC) সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এসএসসি-র তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অবিলম্বে প্রকাশিত তালিকা বাতিল করে মোট নম্বর উল্লেখ করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করার আবেদনও করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় ধৃত ভুয়ো সরকারি আধিকারিক, বাজেয়াপ্ত নীল বাতি লাগানো গাড়ি]
বুধবার এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে মামলায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি হবে ৯ জুলাই। স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যখনই ছাত্রছাত্রী, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ভাল কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা এগোলেই কেউ না কেউ গিয়ে কোর্টে কেস করে দেয়। সে যে কেউ করতে পারে, কিছু বলার নেই। কিন্তু দেখছি, রাজ্যের কাজে বাধা দিতেই এসব করা হচ্ছে। এখন সব ‘কোর্টবাবু’ হয়েছেন।”
উল্লেখ্য, জুন মাসে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট’ বা টেটের যে-তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে যেমন ২০১২ সালের পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন তেমনি কেউ ২০১৪-র টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ২০২০ সালে প্রথম মেধা-তালিকা প্রকাশের পর মামলার জালে জড়িয়ে যায় গোটা প্রক্রিয়া। সেই প্যানেল বাতিল করে পুনরায় ইন্টারভিউ নিয়ে নতুন ভাবে প্যানেল তৈরি করতে বলে কলকাতা হাই কোর্ট। ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হওয়ায় দ্রুতই নিয়োগ হবে বলেই আশাবাদী ছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। তবে ফের মামলার জটে সাময়িক থমকে গেল নিয়োগ প্রক্রিয়া।