সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএলএডের (D.el.Ed) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে আপতত ছাত্র ভরতি করা যাবে না। আপাতত ভরতি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযোগ, নতুন ভরতির আবেদন গ্রহণে নিয়ম মানা হয়নি। এমনকী, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভরতির জন্য় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছিল। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ জানুয়ারি। সেদিন মামলার সবপক্ষ নিজেদের মতামত জানাবে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া ডিএলএড কোর্স ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা। এনসিইআরটি-র গাইডলাইন বলছে, এই কোর্সের জন্য় মোট ২০০টি কর্মদিবস প্রয়োজন। অথচ গত ২৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভরতির জন্য় আবেদন করতে বলা হয়। আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকে। অভিযোগ, শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই নতুন ছাত্র ভরতির আবেদন কীভাবে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
[আরও পড়ুন: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নয়, রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল হাই কোর্ট]
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভরতির জন্য ৩ হাজার টাকা নেওয়া হবে। অথচ সরকারি নিয়ম বলছে, ভরতির জন্য ৩০০ টাকা নেওয়ার কথা। উপজাতিদের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা প্রয়োজন। কেন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে, এসব নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। এর প্রেক্ষিতেই এদিন ভরতি সাময়িক স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল আদালত।
কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত স্থগিত রাখতে হবে ভরতি প্রক্রিয়া। পরবর্তী শুনানির দিন এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সবপক্ষ নিজেদের মতামত জানাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিএলএড কলেজের ভরতিতে গরমিলের বিষয়টি উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, কলেজে ভরতি হওয়া পড়ুয়াদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হত। যা যেত নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক সাহার ছেলের কাছে। এবার ফের সেই কোর্সে ভরতির নিয়মে গরমিলের অভিযোগ তুলে মামলা হল হাই কোর্টে।