গোবিন্দ রায়: চাকরি দেওয়ার নামে তোলাবাজি। অভিযুক্ত হাই কোর্টের কর্মী। জানতে পেরেই কড়া ব্যবস্থা নিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডেপুটি শেরিফকে ডেকে এজলাসেই আদালতের কর্মীকে তাঁর হাতে তুলে দিলেন বিচারপতি। সঙ্গে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। প্রয়োজনে পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্ত ওই হাইকোর্টের কর্মীকে গ্রেপ্তার করবে, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ২০০৯ সালের পরীক্ষা দেওয়া এক দৃষ্টিহীন প্রার্থী। অভিযুক্ত হাই কোর্টের অরিজিনাল সাইডের কারেন্ট রেকর্ড বিভাগের কর্মী স্বপন জানা। বলেছিলেন, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি পেতে দিতে হবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তাঁকেই টাকা দিলে হবে চাকরি। হরেকৃষ্ণ রণজিৎ নামে বেহালার এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তিকে দ্রুত মামলা তুলিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে দু’দফায় ৪৫ হাজার টাকা তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ছাগলকে বলির ‘শাস্তি’! মৃত ছাগলের চোখই প্রাণ কাড়ল ব্যক্তির, কিন্তু কীভাবে?]
অভিযোগ পাওয়া মাত্র বিচারপতি অভিযোগকারীরে বলেন অভিযুক্তকে ফোন করার জন্য। কিন্তু ফোন ধরছিলেন না অভিযুক্ত। এরপর বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসুকে ডেকে পাঠান বিচারপতি। তাঁকে অভিযুক্তকে ফোন করে ডাকেন। এরপরই ডেপুটি শেরিফের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন রেজিস্ট্রার ভিজিল্যান্স এর কাছে হাজির করতে হবে। অভিযুক্তকে বিরুদ্ধে আজই FIR করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে পুলিশ তদন্ত করে গ্রেপ্তার করবে অভিযুক্ত ওই হাই কোর্টের কর্মীকে। তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও অনলাইনে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে নথি দেখান অভিযোগকারী।