গোবিন্দ রায়: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধ বেআইনি। এমনই অভিযোগ করে বনধের বিরোধিতায় হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক আইনিজীবী। সেই মামলা খারিজ করার পাশাপাশি মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ওই আইনজীবীকে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করা দায়ের করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন প্রধান বিচারপতি।
মঙ্গলবার 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তার বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সঞ্জয় দাস নামে এক আইনজীবী। মামলার শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, "এই মামলা আমি শুনবই না। মামলা খারিজ করে দিচ্ছি জরিমানা-সহ।" উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাস থেকে পুলিশি মামলা সরানোর জন্য জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন এই আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: ৫০০ টাকা পাঠান…, মেসেজ ‘প্রধান বিচারপতি’র! পুলিশের দ্বারস্থ শীর্ষ আদালত]
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় প্রধান বিচারপতি বলেন, এই মামলার মাধ্যমে আদালতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আইন প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করেছেন মামলাকারী আইনজীবী। আদালতে আইনজীবীর বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন তিনি। আদালত জানায়, মামলাকারী আইনজীবী মানুষের জন্য কাজ করেছেন বা গরিব মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন এমন কোনও উদাহরণ দেখাতে পারেননি। এর পরই মামলা খারিজ করে মামলাকারী আইনজীবীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: সংসদীয় কমিটি পুনর্গঠনে ঢিলেমি, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে নাড্ডাকে চিঠি তৃণমূলের]
এদিন এজলাসে আর কারও বক্তব্য না শুনেই মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল স্বয়ং আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কথাও শোনেননি প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দেয়, এই আদালতে আর জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে পারবেন না তিনি।