শুভঙ্কর বসু: ভোকেশনাল শিক্ষকদের (Vocational Teachers) বদলি আপাতত আটকে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার শিক্ষাদপ্তরের বদলির নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা যাবে না। ইতিমধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
উল্লেখ্য, রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকাদের বিষপানের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবার বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের কাছে জানতে চায়, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলির কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই? তাহলে কোন নীতিতে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে?
[আরও পড়ুন: WB By-Election: ভবানীপুরের গুরুদ্বারে জনসংযোগে Mamata Banerjee, শিখদের পাশে থাকার আশ্বাস]
ঘটনা হল, বদলির নির্দেশ খারিজের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভোকেশনাল শিক্ষক অনিমা নাথ। তাঁকে হুগলির বলাগড় থেকে মালদায়, কয়েকশো কিলোমিটার দূরে বদলি করা হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে বিচারপতি জানতে চান, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলির কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই বদলির নির্দেশ জারি করল রাজ্য? তাহলে কোন ক্ষমতাবলে এই নির্দেশ জারি হয়েছে। এর পর বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হয়। রাজ্য বদলির নিয়ম নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে পারেনি বলে খবর। এর পরই শিক্ষাদপ্তরের বদলির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট।
২৪ আগস্ট আন্দোলনরত ওই ৫ শিক্ষিকা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বিকাশ ভবনের সামনেই। পুলিশ দ্রুত সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে। পুতুল মণ্ডল-সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এঁদের মধ্যে পুতুল মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেন, তাঁকে সুস্থ করে তোলার। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়।