শুভঙ্কর বসু: অবশেষে রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় জট কাটল। এবার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যোগ্য আবেদনকারীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে এই পথ সুগম করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্য সরকার থেকে চাকরিপ্রার্থী – সকলেই। তবে অভিযোগকারীদেরও গুরুত্ব দিয়েছে হাই কোর্ট। অভিযোগগুলির নিষ্পত্তির দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপরেই দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে কমিশনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের এসএসসি-তে (SSC) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের মামলা দায়ের করেন পরীক্ষার্থীরা। সেই মামলার শুনানিতে আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ (stay order) জারি করে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, ইন্টারভিউ তালিকা নতুন করে প্রকাশ করতে হবে। তাতে যেন পরীক্ষার্থীদের নম্বর-সহ নাম থাকে। যাঁরা ইন্টারভিউয়ের যোগ্যতা অর্জন করেননি, তাঁদেরও নম্বর জনাতে হবে। সাতদিনের মধ্যে তা প্রকাশিত হলেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।
[আরও পডুন: ‘এখনকার বিরোধীরা কিছুই জানে না’, বিধানসভায় বামেদের ‘মিস’ করছেন সুব্রত]
সেইমতো বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে বিস্তারিত নম্বর-সহ প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার জনের ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। আর শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে সেই তালিকা দেখে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই তিনি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে জানান, এবার উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। রাজ্য চাইলে শনিবার থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে দিতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার কমিশনের প্রকাশিত তালিকা দেখেও বিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল আবেদনকারীদের মধ্যে। তাঁরা এদিন সকাল থেকে এসএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। যোগ্য নম্বর থাকা সত্বেও ইন্টারভিউ তালিকায় কেন নাম নেই, সেই প্রশ্ন তোলেন।
[আরও পডুন: ভুয়ো টিকা মামলা: এখনই CBI তদন্তের প্রয়োজন নেই, রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে জানাল হাই কোর্ট]
পাশাপাশি অবশ্য তিনি এও জানিয়েছেন, তালিকা নিয়ে প্রার্থীদের একাংশ যে অভিযোগ তুলেছেন, তা যেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া হয় কমিশনের তরফে। এ নিয়ে বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ অনলাইন বা অফলাইনে জমা দিতে হবে এসএসসি-র কাছে। তারপর সেসব অভিযোগের নিষ্পত্তি করার জন্য কমিশন ১২ সপ্তাহ সময় পাবে।