গোবিন্দ রায়: মালদহে (Malda) জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের অভিযোগ। তদন্তভার সিবিআই (CBI) ও এনআইএ-কে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। একে ঐতিহাসিক রায় বলে উল্লেখ করছেন আইনজীবীরা।
মালদহে কালিয়াচকের একটি গ্রামে একই পরিবারের দুই ভাই ও তাঁর স্ত্রী- সন্তানদের জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় নাম জড়ায় কালিয়াচক থানার আইসি ও দু’জন পুলিশকর্মীর। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এমন অভিযোগ শুনে সরাসরি কেন্দ্রীয় দুটি সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেন। একইসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপারকে হলফনামা দিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি ২১ জুন। হাই কোর্টের ইতিহাসে প্রথমবার এমন কোনও নির্দেশ দিল আদালত।
[আরও পড়ুন: সূত্র হুমকি ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ, বারাকপুরে বিরিয়ানির দোকানে শুটআউটে গ্রেপ্তার যুবক]
অভিযোগকারী পরিবারের আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের অভিযোগ, ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দিতে পুলিশ অভিযোগকারী পরিবারের এক মহিলার বিরুদ্ধেই তাঁর স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ তুলেছে। তার তদন্তও শুরু করেছে। অথচ ঘটনার দু’দিন আগে থেকে বেপাত্তা স্বামীর খোঁজ না পেয়ে ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করতে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, থানার আইসি নিজে ধর্মান্তকরণের কথা প্রথম বলেছিলেন। তিনিই চাপ দিয়ে এই কাজ করেছেন। এরসঙ্গে জড়িত রয়েছে থানার দুই অফিসার ও সিভিক ভলান্টিয়ার।
বিচারপতি এদিন বিস্ময় প্রকাশ করেন ঘটনা শুনে। কীভাবে পুলিশ নিজে ধর্মান্তকরনের চাপ দিয়ে ব্যবস্থা করতে পারেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্যরা।