শুভঙ্কর বসু: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলাগুলির শুনানিতে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য প্রশাসন। মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন নীলবাতির গাড়ি ব্যবহার করে কীভাবে? পুরসভার কমিশনারই বা তাকে চিনতে পারল না কেন? এই ঘটনার তদন্তই বা কতদূর এগিয়েছে? এরকম প্রশ্নের সামনে পড়তে হল রাজ্য প্রশাসনকে। আগামী শুক্রবারই হলফনামা জমা দিয়ে রাজ্যকে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিনই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী সন্দীপন দাস, বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি-সহ মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন সেই মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল প্লিডার অনির্বাণ রায়। তিনি জানান, এই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে তদন্তের জন্য বেশি সময় পায়নি রাজ্য প্রশাসন। তা সত্ত্বেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কড়া পদক্ষেপ করেছে পুলিশ প্রশাসনও। গঠন করা হয়েছে সিটও।
[আরও পড়ুন: Corona পরিস্থিতিতে মিলছে না বেতন, ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মঘাতী পর্ণশ্রীর বাসিন্দা]
সেসময় হাই কোর্টের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, নীলবাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। ধৃত দেবাঞ্জন যদি সত্যিই আইএএস হতেন, তাহলে কি তাঁর নীলবাতি ব্যবহারের এক্তিয়ার রয়েছে? কেন রাস্তায় কোনও চেকিং হয়নি? দীর্ঘদিন কীভাবে দেবাঞ্জন ওই গাড়ি নিয়ে ঘুরল? এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? এছাড়া দেবাঞ্জন নিজেকে পুরসভার যুগ্ম কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল, সেক্ষেত্রে পুরসভার কমিশনারই বা নিজের অধস্তন কর্মীকে কেন চিনতে পারলেন না? এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তে এখনও কী কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার? সেই প্রশ্নও জানতে চান বিচারপতিরা। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়, আগামী শুক্রবারের মধ্যে হলফনামা আকারে রাজ্যকে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানাতে হবে। ওইদিনই এই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি হবে।