শুভঙ্কর বসু: বাঁকুড়ার স্কুল থেকে শিশুপাচারের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের উপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। ওই মামলাতেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরেই বাঁকুড়ার (Bankura) ১ নম্বর ব্লকের কালাপাথর এলাকার জওহর বিদ্যালয় থেকে শিশুপাচারের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় স্কুলেরই প্রিন্সিপাল কে কে রাজোরিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পুলিশের জালে আসে রিয়া বাদ্যকর, সুমিতা বাদ্যকর এবং স্বপনকুমার দত্ত নামে তিনজন। এদের সকলের সঙ্গে যৌনপল্লির যোগ মিলেছে বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল জেলা পুলিশ। শিশুপাচারের মতো কেলেঙ্কারির দ্রুত কিনারা করে দোষীদের গ্রেপ্তারির জন্য ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। তদন্তভার নেওয়ার পরই পুনর্নির্মাণ করে দ্রুত কেলেঙ্কারির জট খোলার চেষ্টা শুরু করেন সিআইডি (CID) আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশের পদক্ষেপ একদম ঠিক’, সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারিতে ত্রিপুরা সরকারের পাশে দিলীপ]
ওই ঘটনাতেই কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। যারা যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেই। একথা শোনার পর বিচারপতি সিআইডি তদন্তের উপরেই আস্থা রাখেন।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কারা এই ঘটনায় জড়িত, তারা সকলেই গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা-সহ তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওই হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে। ওই হলফনামায় থাকা তথ্যের ভিত্তিতেই বাঁকুড়া শিশুপাচার কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার পরবর্তী গতিপ্রকৃতি স্থির হবে।