ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ছাত্র সংসদের ভোট ঘিরে মেডিক্যাল কলেজের আঁচ গিয়েছিল স্বাস্থ্যভবনে। দলবিহীন ছাত্র সংসদ ভোটে ২১ জন পড়ুয়া জয়ী হয়। ছাত্র সংসদও গঠন হয়। বুধবার মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিল বৈঠকে ছাত্র সংসদকে মান্যতা দেওয়া হল।
কাউন্সিলের তরফে অধ্যক্ষ ডা: ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কথায়,‘‘২১জন সদস্যকেই মেনে নিল কাউন্সিল। তবে ভোটের কোনও বৈধতা নেই। আমরা তো আগেই ঠিক করেছিলাম, কলেজ কাউন্সিল হোক সিলেকশনের মাধ্যমে।’’এদিনের কাউন্সিল বৈঠকে ভোট সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেওয়া হয়নি। আগামী কাউন্সিল বৈঠকে ঠিক হবে গড়ে দেওয়া স্টুডেন্ট কাউন্সিল কীভাবে কাজ করবে। যদিও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, কলেজ কতৃর্পক্ষ গণতন্ত্র মানে না বলেই ছাত্র সংসদকে মান্যতা দিচ্ছে না। তবে কলেজ সূত্রে খবর, নতুন সংসদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই ছাত্ররাই ছাত্র সংসদ চালাবে। স্বাস্থ্য ভবনেও তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন বেহাল রাস্তা, ভোগান্তির কথা শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে ধমক ‘দিদির দূত’ কুণালের]
২২ ডিসেম্বর ছাত্রভোটের দাবিতে টানা ১২-১৩ দিনে অনশন করেন ৫ পড়ুয়া। একটানা অনশনের জেরে স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু আন্দোলনকারী। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে কনভেনশনের ডাক দেন চিকিৎসকদের একাংশ। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারাও মঙ্গলবার নাগরিক মিছিলের ডাক দেন। বহু আরজি-অনুরোধ করা হলেও নিজেদের দাবি থেকে পিছু হঠেনি তাঁরা। বরং চার বিশিষ্ট নাগরিকের নজরদারিতে অরাজনৈতিক ভোট করেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
চার বছরের মোট ২১টি আসনের জন্য় ভোটগ্রহণ হয়। ভোটার ছিল প্রায় এক হাজার পড়ুয়া। ভোট দিয়েছিলেন প্রায় সকলেই। প্রার্থী ছিলেন ৩১ জন। ফাইনাল ইয়ারের কোনও ছাত্র ভোটে প্রার্থী হননি। প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই উৎসবের মেজাজে ভোট হয়। এবার কার্যত তাঁদের আন্দোলনকেই মান্যতা দিল কর্তৃপক্ষ। ভোটকে অবৈধ বললেও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মান্যতা দিল তারা।