সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরণ অনশনে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ পড়ুয়া। এদিকে হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক অঞ্জন অধিকারী বারবার অনশন তুলে নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়েই সমাধান সূত্র বেরবে।
সোমবার দুপুর তিনটে থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছিল ঘেরাও। অধ্যক্ষ ছাড়াও, সুপার, ডেপুটি সুপার, নার্সিং সুপারিটেন্ডেন্ট-সহ চব্বিশজন বিভাগীয় প্রধানকে ঘেরাও করেছিল ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ৩৪ ঘন্টা পর বুধবার ভোর রাতে সে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। ছাত্ররা দাবি করেন, দুপুর দুটোর মধ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে হবে। সেইমতো বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষর ঘরে আসে তারা। দেখা যায় অধ্যক্ষ নেই। বিভাগীয় প্রধানরাও গরহাজির।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের টাকা আটকাতে ফের সক্রিয় বঙ্গ BJP! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন সুকান্ত ও শুভেন্দু]
এরপরই ছাত্রনেতা অনিকেত কর সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, অনেক আশা নিয়ে অধ্যক্ষকে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও সহযোগিতা পাচ্ছি না। ছাত্রদের দাবি, যাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ছাত্র নেতারা আরও জানিয়েছেন, ঘেরাওয়ের কারণে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। এর পিছনে চক্র রয়েছে। যাঁদের জন্য ব্যাহত হয়েছিল। তার পিছনে কারা সেটা তদন্ত করতে হবে। সবশেষে ঠিক হয়, যতক্ষণ না নির্বাচনের দিন ঘোষণা হচ্ছে আমরণ অনশনের পথেই হাঁটবে ছাত্ররা। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে অনশনে বসছেন পাঁচজন ছাত্র।
অনশনকারী পড়ুয়াদের স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁদের দাবি মানতে হবে। অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে হবে। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা, আন্দোলন নয়, আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে বেরবে মীমাংসা। বারবার অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন তাঁরা। সুপার অঞ্জন অধিকারী বলেন, “আমাদের প্রথম ডিউটি রোগীকে পরিষেবা দেওয়া। দ্বিতীয় কর্তব্য পঠন পাঠন চালানো। আলাপ- আলোচনার মধ্যে দিয়ে মীমাংসা সূত্র বেরবে।”