দীপঙ্কর মণ্ডল: স্নাতকের (UG) চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা হয়েছে অনলাইনে। ‘ওপেন বুক এক্সাম’-এর ফলও প্রকাশ করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, স্নাতকোত্তরের (PG) ভরতি প্রক্রিয়া ২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, স্নাতকে ভরতি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের কোনও নথি ভুয়ো প্রমাণিত হলে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
করোনা আবহে নানা জটিলতার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ২২ অক্টোবর বি.কম ষষ্ঠ সেমেস্টার (অনার্স এবং জেনারেল) ও বি.কম পার্ট থ্রি (অনার্স এবং জেনারেল) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরেরদিন বিএ, বিএসসি পার্ট থ্রি (অনার্স এবং জেনারেল) পরীক্ষার ফল জানা যায়। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা মার্কশিট হাতে পাবেন। কলেজের অধ্যক্ষ অথবা তাঁদের মনোনীত প্রতিনিধিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে মার্কশিট সংগ্রহ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় আসলে তৃণমূল কর্মীদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেব’, আশ্বাস দিলীপ ঘোষের]
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের ৬৮টি বিভাগের ফল প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। যে ২১টি কলেজে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়, সেগুলির অধিকাংশেই ঢালাও নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, সরাসরি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পড়ুয়াদের নম্বর কিছুটা হলেও কমেছে। এর জেরে বৈষম্য তৈরি হবে বলে অধ্যাপকদের একাংশের অভিযোগ।
অন্যদিকে, কলেজগুলিতে অনলাইনে স্নাতকে ভরতি (Online admission) প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরের আগে কলেজ খোলার সম্ভাবনা নেই। তাই মার্কশিট যাচাইয়েরও সুযোগ নেই। প্রথম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে গিয়েছে মার্কশিটের হাতে-কলমে যাচাই ছাড়াই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রথম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ায় জড়িয়েছে স্ত্রী! স্রেফ সন্দেহে খাস কলকাতায় মহিলাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা স্বামীর]
কিন্তু অধ্যক্ষরা ভেরিফিকেশনের ব্যাখ্যা না পেয়ে রেজিস্ট্রেশন শুরু করতে নারাজ। অধ্যক্ষদের বক্তব্য, ভরতির সঙ্গে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি মেলালে চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একবার রেজিস্ট্রেশন পেয়ে গেলে, তা বাতিল করা মুশকিল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, কোনও ছাত্রছাত্রীর পেশ করা নথি ভুয়ো প্রমাণিত হলে তৎক্ষণাৎ রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।