নব্যেন্দু হাজরা: ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকলেই বিপদ। সাবধান! সব দরজায় মোতায়েন হয়েছে নয়া নজরদার। যারা কিনা এক ঝলক দেখেই জেনে যাবে আপনার বাহনের ঠিকুজি-কুষ্ঠি। ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলেই ধরা পড়ে যাবেন স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায়। আটকা পড়বেন যন্ত্রেই। মান্ধাতার আমলের দূষণ ছড়ানো গাড়িতে চড়ে কলকাতা সফরের আগে তাই দু’বার ভাবাই শ্রেয়। কারণ, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ। শহরে ঢোকা ও বেরনোর পথে গাড়ির যাবতীয় তথ্য এবার বন্দি থাকবে অত্যাধুনিক ক্যামেরায়। যার মাধ্যমে গাড়ির মালিক থেকে রেজিস্ট্রেশন, যাবতীয় তথ্য আইনরক্ষকদের হাতের মুঠোয় আসা শুধু এক ক্লিকের অপেক্ষা। সৌজন্যে নম্বর প্লেট রেকগনিশন সফটওয়্যার বা এনএমআর। শহরে ঢোকার প্রায় ৫০টি পয়েন্টে ছ’টি করে ক্যামেরা লাগানো থাকবে।
[৩৮ বছরের সহবাস ভোলার নয়, বাতিল ‘দিল’-এ মন কেমন করে দিলচাঁদের]
উল্লেখ্য, ১৫ বছরের পুরনো গাড়ির শহরে ঢোকা রুখতে এবার প্রতি কোণে বসছে অত্যাধুনিক এনএমআর সিসিটিভি। যাতে থাকবে নম্বর প্লেট রেকগনিশন সফটওয়্যার বা এনএমআর। যার মাধ্যমে প্রতিটি গাড়ির নম্বর প্লেট-সহ যাবতীয় তথ্য উঠে যাবে কন্ট্রোলরুমে। ধরা থাকবে বাহন ডেটাবেসে। গাড়ির মালিকের নাম থেকে গাড়ির বয়স বা গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কি না তা সরাসরি উঠবে নয়া এই সিসি ক্যামেরায়। আর তা নজর রাখবে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশসূত্রে খবর, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচিতে শহরজুড়ে প্রচুর সংখ্যক সিসিটিভি বসানো হয়েছে। তবে তা থেকে গাড়ি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায় না। ফলে তথ্য এলেও তা থাকত অসম্পূর্ণ। তাই শহরের এন্ট্রি-এক্সিটে নয়া এই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ১৫ বছরের পুরনো গাড়িই শুধু নয়, অপরাধ দমনেও এই ক্যামেরা বিশেষ কাজে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, শহরে অপরাধ ঘটিয়ে অনেক সময়ই এলাকা ছেড়ে গাড়ি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। যে কারণে তাদের হদিশ পেতে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে কোন গাড়ি কোন সময় শহরে বেরচ্ছে ঢুকছে তা নখদর্পণে থাকবে পুলিশের। দুষ্কৃতীদের ধরতেও তাই সুবিধা হবে।
[ফাঁস মোবাইল-ল্যাপটপ চুরি চক্র, পুলিশের জালে দম্পতি]
এমনিতেই আদালতের নির্দেশে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি শহরে চলা নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কখনও সখনও পুরনো গাড়ি ঢুকে পড়ে শহরে। থাকে দীর্ঘদিন। সেই অভ্যেসে ছেদ টানতেই নয়া এই সিসিটিভি। নিবেদিতা সেতু থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা ডায়মন্ডহারবার রোড, হরিদেবপুর, পাটুলির মতো গুরুত্বপূর্ণ এন্ট্রি পয়েন্টে এই ক্যামেরা বসানো হবে। এনিয়ে পরিবহণ দপ্তরের তরফে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। কোথায় কোথায় কতগুলো করে ক্যামেরা বসবে, তা এখন ঠিক করা হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি শহরে থাকলেই তা জানা যাবে নয়া এই সফটওয়্যারে। সঙ্গে সঙ্গে নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হবে ওই গাড়ির মালিককে। তাছাড়াও শহরে গাড়ি ঢোকা-বেরনো সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যাই এই নয়া ক্যামেরায় ধরা পড়বে। যাতে সুবিধা হবে পুলিশেরও।
The post ‘বৃদ্ধ’ যানের চলাচল রুখতে শহরের ৫০টি প্রবেশদ্বারে বসছে বিশেষ নজরদারি appeared first on Sangbad Pratidin.