সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধু শোভনের সঙ্গে দল বদলেছিলেন। গিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর শিঁকে ছেঁড়েনি কপালে। জোটেনি সম্মানও। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “ওঁর জন্য প্রাণও দিতে পারি।” কিন্তু কেন এমন বললেন তিনি?
নারদা মামলায় সোমবার সকালে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং তাঁদের পুরনো সঙ্গী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এর পরই সিবিআইয়ের দপ্তর নিজাম প্যালেসে ছুটে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই আচরণকে ‘ক্যাপ্টেন’সুলভ বলে দাবি করেন বৈশাখী। সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “শোভনের পাশে যেভাবে উনি দাঁড়ালেন, ওঁর জন্য আমি প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। উনি বুঝিয়ে দিয়েছেন উনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী।”
[আরও পড়ুন: নারদ মামলায় নয়া মোড়, চার হেভিওয়েটের জামিনে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
এখানেই থামেননি বৈশাখী। আরও বলেন, ” উনি বললে, নবান্নে ওঁর চটিও রেখে আসতে পারি।” সবেমাত্র বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে ফিরেছে তৃণমূল। অন্যদিকে সরকার গড়া তো দূরে থাক ১০০ পার করতে পারেনি বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলষ
এদিন সকলকে চমকে দিয়ে মোদি সরকারেও সমালোচনা করে বৈশাখী। বলেন, আআজ গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর কেন্দ্রীয় সরকার। সমাজের অন্যতম সম্মানের স্তম্ভ যাঁরা, তাঁদের এভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা একেবারেই অনুচিত। একসময় কলেজে অধ্যক্ষার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যাঁর দিকে আঙুল তুলেছিলেন এদিন সেই ফিরহাদ হাকিমের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হন বৈশাখী। বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে যাঁর উপর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি সেই ফিরহাদ হাকিমকে সকালে বিনা কারণে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ পরিষেবা না পেয়ে যে ক’টা প্রাণ যাবে, প্রত্যেকটা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে বিজেপি।” শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিপদের দিনে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় উলটো সুরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।