সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট দিন ধরে উত্তরকাশীর (Uttarkahsi) সুড়ঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক। ক্রমশ তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি আশ্বস্ত করেন, অত্যাধুনিক মার্কিন মেশিনে ড্রিলের কাজ শুরু হয়েছে। সব ঠিক থাকলে দুদিনের মধ্যেই শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
রবিবার সকালে ধস নামা ওই সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ তদারকি করতে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। গড়করি দাবি করেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী অত্যাধুনিক ড্রিলিং মেশিন উদ্ধারকাজে গতি বাড়াবে। সব ঠিক থাকলে আগামী দুই দিনের মধ্যে শ্রমিকরা সুড়ঙ্গ নরক থেকে মুক্তি পাবেন। মন্ত্রী আরও বলেন, “শ্রমিকদের জীবন বাঁচানোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। রোবোটিকস প্রযুক্তি আনা হচ্ছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি দল টানেলের গভীরতা স্ক্যান করার জন্য স্যাটেলাইটের ছবি তোলার চেষ্টা করছে। সব কিছুর একটাই উদ্দেশ্য।”
[আরও পড়ুন: শিয়রে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন, শহর থেকে প্যান্ডেলের বাঁশ খোলার ডেডলাইন দিল পুরসভা]
গডকড়ি আরও জানান, ছয় ইঞ্চির পাইপ লাইনে খাবার, ওষুধ, জল, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। অবসাদমুক্তির ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। ড্রাই ফ্রুট দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের। মন্ত্রী আশ্বাস দিলেও আশঙ্কায় শ্রমিকদের আত্মীয়রা। আটকে পড়া মানুষগুলিও জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভিতরে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁচবেন না তাঁরা। এখন ভাগ্য দেবতায় জানেন দুই দিন পর কোথায় পৌঁছাবে পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়ান্ট স্ক্রিনে বিশ্বকাপ, মদ-মাদক-বাজি-বহিরাগতে নিষেধাজ্ঞা]
উল্লেখ্য, সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গটি। রবিবার ভোরে সেখানে ধস নামে। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী। তাঁর তদারকিতেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল শুরু করে উদ্ধারকাজ।