সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডায় (Canada) ফের সরকার গঠনের পথে জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) লিবারাল পার্টি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের পর মঙ্গলবার চলছে ভোটগণনা। আর তাতেই বিপক্ষ কনজারভেটিভ দল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। তবে ট্রুডোর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পরিস্থিতি যা, তাতে তৃতীয়বার জাস্টিন ট্রুডোর প্রধানমন্ত্রী পদে বসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
ভোটের পর বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা উঠে এসেছিল যে কানাডায় ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন ট্রুডো। নির্বাচনের ফল প্রকাশের প্রাথমিক ট্রেন্ডেও সেই আভাস মিলেছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কানাডার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কক্ষ তথা হাউন্স অফ কমন্সে (ভারতের লোকসভার মতো) ৩৩৮ টি আসনের মধ্যে ১৫৫ টিতে এগিয়ে আছে শাসক দল লিবারেল। এখনও ভোটগণনা অনেকটাই বাকি আছে। অন্যদিকে, কনজারভেটিভরা এগিয়ে ১২৩টি আসনে। তবে কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানিয়েছে, লিবারাল পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। আরও কিছুটা সময় কাটলে সেই ছবিটা স্পষ্ট হবে।
[আরও পড়ুন: ৫-১১ বছরের বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন, দাবি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে]
এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন ট্রুডো। পরবর্তীতে আরও একবার ভোটে তাঁর উপরেই ভরসা রাখে কানাডিয়ানরা। আর এবার তৃতীয়বারের জন্য সেই কুর্সিতে বসার দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ৪৯ বছরের ছেলে। এবার কানাডার ফেডারেল ভোটের প্রচারে অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল করোনাভাইরাসের টিকাকরণ। পুরোপুরি টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার দৌড়ে আছে কানাডা। যা ট্রুডো সরকারের বড় কৃতিত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু ট্রুডোদের বিরোধী দল কনজারভেটিভদের বক্তব্য ছিল, দলের প্রার্থীরা টিকা না নিলেও চলবে। কতজন টিকা নেননি, তাও জানানো হবে না। কনজারভেটিভ নেতা এরিন ও’টুলে দাবি করেছিলেন, টিকা কেউ নেবেন কিনা, তা একান্ত তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু এরিনের সেই মন্তব্যই যেন ভালোভাবে নেননি কানাডাবাসী। বরং যাঁরা করোনা টিকা নিতে অস্বীকার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হয়। ঠিক সেখানেই ফায়দা পেয়েছেন ট্রুডো। যিনি প্রথম থেকেই ট্রেন বা বিমানে যাতায়াতের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, তাঁর টিকানীতির জন্য ভোটেও ফলে পেলেন জাস্টিন ট্রুডো।