সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম না করে খলিস্তানিদের (Khalistan) তাণ্ডব প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতার পক্ষেই সওয়াল করে কানাডা। কিন্তু তার পাশাপাশি যারা হিংসা ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কার্যকলাপের ভিত্তিতে যেন গোটা কানাডার (Canada) অবস্থানকে বিচার করা না হয়। প্রসঙ্গত, জি-২০ (G20) সম্মেলনের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রুডো। যদিও এই বৈঠকে খলিস্তানি প্রসঙ্গে আলোচনা নিয়ে ভারতের তরফে কিছুই বলা হয়নি।
মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাকস্বাধীনতা রক্ষা, চিন্তাভাবনা ও প্রতিবাদের অধিকার সমর্থন করে কানাডা। এই বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সঙ্গে ঘৃণা ছড়ানোর বিরোধিতা করাও আমাদের কাজ। যেকোনও ধরনের হিংসা আটকাতে সক্রিয় ভূমিকা নেবে কানাডা।” প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই কানাডায় প্রচুর ভারত বিরোধী কার্যকলাপ ঘটেছে। অধিকাংশের নেপথ্যেই রয়েছে খলিস্তানিদের হাত।
[আরও পড়ুন: লড়াই করেও লেবাননের কাছে হার, কিংস কাপ থেকে খালি হাতে ফিরছে ভারত]
তবে এদিনের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একবারও খলিস্তানিদের নাম উল্লেখ করেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দেশে হিংসাত্মক কার্যকলাপ নিয়ে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট কয়েকজনের আচরণের সঙ্গে গোটা কানাডার অবস্থানকে বিচার করা উচিত নয়। আইনের শাসন কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা একাধিকবার আমরা মনে করিয়ে দিয়েছি।” তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ভারতের তরফে সরকারিভাবে খলিস্তানি প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সূত্রের খবর, কানাডায় খলিস্তানি কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বেশ দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
কয়েক মাস আগেই ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদৃশ্য নিয়ে ট্যাবলো বেরিয়েছিল কানাডার রাস্তায়। ভারতের তরফে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা করা হয়। তারপরেই একের পর এক হিন্দু মন্দিরে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগও ওঠে। তবে এদিনের বৈঠকের পরে মোদি টুইট করে বলেন, “ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” তবে জানা গিয়েছে, কানাডায় খলিস্তানি কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদি। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে তাতে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয় ও তাঁদের উপাসনাস্থলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়গুলি নিয়ে কানাডাকেও সতর্ক হতে হবে বলে বার্তা দিয়েছেন মোদি।