সুব্রত বিশ্বাস: পূর্ব রেলের (Eastern Railway) নানা পদে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। সোমবার সদর দপ্তরের সামনে অভিনব প্রতিবাদে (Protest) শামিল চাকরিপ্রার্থীরা। জামা খুলে বিক্ষোভ দেখালেন শ’ খানেক যুবক। অভিযোগ একটাই, নিয়োগ তালিকায় অতিরিক্ত প্রার্থী হিসেবে তাঁদের নাম থাকলেও চাকরি হয়নি। তাঁদের বাদ দিয়ে ‘নিজেদের লোক’ নিয়েছে রেল। তারই প্রতিবাদে চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভ। সোমবার দুপুরে তাঁদের এই বিক্ষোভ ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠল স্ট্র্যান্ড রোডের (Strand Road)ফেয়ারলি প্লেসের পূর্বরেলের হেড কোয়ার্টার।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে পূর্ব রেলের একাধিক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ডায়রেক্ট রিক্রুটমেন্ট (Recruitment) অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেই নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। ৫৫২৭ টি শূন্যপদ ছিল। সম্প্রতি লিখিত পরীক্ষার পর ৪৯৮৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। ২৩০০ জনের অতিরিক্ত তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যদি প্রথম তালিকায় নির্বাচিতদের কেউ যোগ দিতে না পারেন, তার জায়গায় ওই অতিরিক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। এমনই ছিল রেলের পরিকল্পনা।
[আরও পড়ুন: জাপানি ওয়েব সিরিজ দেখে বহুতলের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ কলকাতার ছাত্রের]
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, ওই তালিকা থেকে ৫১৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাকি চাকরিপ্রার্থীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, ৫১৭ জনের নিয়োগের বিষয়টি তাঁদের অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে। এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেই পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাকিরা। জামা খুলে প্রতিবাদে শামিল হন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: কলকাতা বইমেলায় লতাকে শ্রদ্ধার্ঘ, সুরসম্রাজ্ঞীর স্মৃতিতর্পণে বিশেষ প্যাভিলিয়ন]
বিষয়টি নিয়ে শোরগোল ছড়াতেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (CPRO) একলব্য চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন। আর কোনও শূন্যপদ নেই। তাই যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের কাউকে নিয়োগ করা সম্ভব নয়।