সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভগবান কৃষ্ণের নামে আপনারা তিন হাজার গাছ কাটতে পারেন না।” এই ভাষাতেই উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। মথুরার কৃষ্ণমন্দিরে যাওয়ার রাস্তা চওড়া সম্প্রসারণ করতে প্রায় তিন হাজার কাটতে চাইছে সে রাজ্যের সরকার। যোগী সরকারের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
মথুরার কৃষ্ণ মন্দিরে যাওয়ার পথে প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ করতে চাইছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই উদ্দেশ্যে রাস্তার দু’ধারে থাকা ২ হাজার ৯৪০ টি গাছ কেটে ফেলার পরিকল্পনা করে পাবলিক ওয়ার্কস দপ্তর। ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা দিতেও তৈরি ছিল তাঁরা। এমনকী, পরিবেশ রক্ষার জন্য কাটা গাছের দ্বিগুণ সংখ্যাক চারা লাগানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। তাতে অবশ্য চিড়ে ভিজল না।
[আরও পড়ুন : আগামী সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হতে পারেন মোদি-বরিস জনসন, তুঙ্গে জল্পনা]
এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে যোগীর রাজ্যে পাবলিক ওয়ার্কস দপ্তরকে ভর্ৎসনা করে বলেন, “কৃষ্ণের (Lord Krishna) নামে তো আর আপনাদের তিন হাজার গাছ কাটতে দিতে পারি না।” দ্বিগুণ সংখ্যক চারা লাগানোর প্রস্তাবও খারিজ করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কথায়, ১০০ বছরের পুরনো গাছ আর একটা সদ্য লাগানো চারার গুরুত্ব সমান নয়। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামসুব্রক্ষ্মনিয়মের বেঞ্চ বলে, “পুরনো গাছগুলি বিপুল অক্সিজেন দেয়। ফলে শুধুমাত্র টাকা দিয়ে এই ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব নয়। গাছগুলি আরও কতদিন বাঁচবে ও কত অক্সিজেন দিতে পারে তার উপর গাছের মূল্য নির্ভর করে।”
নয়া রিপোর্ট জমা করার জন্য রাজ্যকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এ প্রসঙ্গে তাঁদের হুঁশিয়ারি, “সময়ের মধ্যে নিখুঁত রিপোর্ট চাই।” রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়েছিল, ওই রাস্তায় দ্রুত গাড়ি চলাচাল করতে পারলে দুর্ঘটনা কমে যাবে। তাই গাছগুলি দ্রুত সরিয়ে ফেলা উচিত। আদালত তাঁদের এই সওয়ালও খারিজ করে দিয়েছে।