সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্ন উড়ান বোধহয় একেই বলে। এবার আকাশ ছুঁতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা কমান্ডার। বোয়িং-৭৭৭ এর পিঠে সওয়ার হয়ে এবার নিজের স্বপ্ন সফল করতে চলেছে অ্যানি দিব্যা।
পাঠানকোটে জন্ম অ্যানির। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল কমান্ডার হওয়ার। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় আর্থিক অস্বচ্ছলতা ছিল। ফলে স্বপ্নের উড়ানে বাধা ছিল প্রতি পদে। তবুও সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাঁর বাবাকে দেখে স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখেন অ্যানি। তাঁর অভিভাবকরাও হাল ছাড়েননি। হাল ছাড়েননি তিনি নিজেও। যাবতীয় প্রতিকূলতা কাটিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছনোই ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া। পড়াশোনার পথে, বা অন্যান্য প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যাতে কোনও বাধা না আসে, তার জন্য সবসময় নিজের পরিবারকে পাশে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই পাইলট। তবে বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়েকে চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। তবে তাঁর ইচ্ছা কখনও চাপিয়ে দেননি মেয়ের ওপর।
১৭ বছর বয়সে ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন অ্যানি। দু’বছরের মাথায় কোর্স শেষেই চাকরি পান এয়ার ইন্ডিয়ায়। সেখান থেকে তাকে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয় স্পেনে। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে অ্যানি বোয়িং-৭৩৭ চালানোর সুযোগ পান। এরপর ২১ বছর বয়সে ফের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয় লন্ডনে। এরপরই অ্যানির সুযোগ হয়ে যায় বোয়িং-৭৭৭ চালানোর। কিছু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় অ্যানিকে। এই পেশায় লিঙ্গবৈষম্য আছে, স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। পুরুষ পাইলটরা কোথাও যেন মহিলা পাইলটদের সমান চোখে দেখেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মফস্বল থেকে উঠে এসে পাইলট ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন ছিল তাঁর কাছে। সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে না পারা সেইসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম। তবে মহিলা পাইলট হিসেবে তিনি গর্বিত। তিরিশ বছর বয়সি অ্যানি জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে বিশ্বের নজরে ভারত আজ অনেকটাই এগিয়ে৷ এজন্য একজন ভারতবাসী হিসেবেও গর্ব বোধ করেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সবার সামনে। তিনি বলেন, ভারতের মত দেশে ১৫ শতাংশ মহিলা পাইলট রয়েছেন, যেখানে বিশ্বে মহিলা পাইলট রয়েছেন প্রায় ৫ শতাংশ৷
The post রূপকথাকেও হার মানাবে বিশ্বের এই সর্বকনিষ্ঠ মহিলা পাইলটের কাহিনি appeared first on Sangbad Pratidin.