সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতা কি যা খুশি করার পারমিট দেয়? মহারাষ্ট্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের পুত্রের কাণ্ডে এমন প্রশ্নই তুলছে আমজনতা। রবিবার গভীর রাতে নাগপুর শহরে গেরুয়া নেতার ছেলের গাড়ির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক গাড়ি। আরও বড় বিপদের আশঙ্কা ছিল, যা কোনও মতে এড়ানো গিয়েছে, ফলে বেঁচে যান গাড়িগুলির ভিতরে থাকা ব্যক্তিরা। অন্যদিকে ঘটনার পরেই পলাতক নেতার ছেলে এবং সঙ্গীরা। এই ঘটনায় জোর শোরগোল শুরু হয়েছে শিবাজি মহারাজের দেশে। শাসক দলের নেতার ছেলের কাণ্ডে সরব বিরোধীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনা ঘটে নাগপুরের রামদাসপথ এলাকায়। মহারাষ্ট্রের বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের ছেলে সঙ্কেতের অডি ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়িতে। সঙ্কেতরা একটি পানশালা থেকে ফিরছিলেন বলে জান গিয়েছে। মত্ত অবস্থায় ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে বিজেপি নেতার পুত্র, তাঁর বন্ধুরা এবং চালক মিলিয়ে মোট পাঁচ জন ছিলেন। তিন রাস্তার মোড়ে যে গাড়িটিতে সঙ্কেতের গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল বলে অভিযোগ, সেই গাড়িটি ধাওয়া করে সঙ্কেতের অডিকে ধরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে সঙ্কেত ও আরও দু’জন পালিয়ে গিয়েছিলেন। বাকি দু’জনকে পাকড়াও করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যান ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালক।
[আরও পড়ুন: ‘৫৬ ইঞ্চির ছাতি এখন ইতিহাস’, আমেরিকায় মোদিকে তোপ রাহুলের]
সীতাবুলদি থানার এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সঙ্কেত-সহ ওই গাড়ির তিন জন পালিয়ে গিয়েছেন। গাড়ির চালক অর্জুন হাওড়ে এবং রনিত চিত্তামওয়াড় নামে অপর এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দু’জনকে ইতিমধ্যে জামিন দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। ছেলের কাণ্ডের মহারাষ্ট্র বিজেপি সভাপতির বিবৃতি, "আইন সকলের জন্য সমান। পুলিশের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করা।" তিনি দাবি করেন, পুলিশকে প্রভাবিত করবেন না। যদিও বিরোধীরা এই ঘটনায় কটাক্ষ করছে শাসক শিবিরকে।