ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: খাস কলকাতায় ফের রেফার রোগের ছায়া। ৬২ বছরের হৃদরোগে আক্রান্ত মা-কে নিয়ে কলকাতার পাঁচ হাসপাতালে ঘুরতে হল তরুণীকে। শেষে গিয়ে এম আর বাঙ্গুরে (MR Bangur) ওই ৬২ বছরের বৃদ্ধাকে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা নিয়ে একেবারেই আশ্বস্ত নন ওই তরুণী। কারণ বাঙ্গুরে আলাদা কোনও কার্ডিওলজি বিভাগই নেই।
শুক্রবার রাতে দক্ষিণ শহরতলির এক ৬২ বছরের বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মরণাপন্ন মা-কে নিয়ে তাঁর মেয়ে প্রথমে যান এসএসকেএমে (SSKM)। কিন্তু সেখানে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএসে (NRS)। সেখানেও ভর্তি করা যায়নি। তার পর নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital)। সেখানেও বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে নরকঙ্কাল! তদন্ত শুরু করল পুলিশ]
এরই মধ্যে খবর যায় রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে। তিনি নিজে ওই বৃদ্ধাকে ভর্তির জন্য সচেষ্ট হন। এবারে ওই রোগিনীকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ভর্তি করা হয়নি ওই বৃদ্ধাকে। স্বাস্থ্যসচিবের অনুরোধ সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, বেড না থাকায় ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি করা সম্ভব নয়। রোগিনীর মেয়ের অভিযোগ, একই সঙ্গে আসা অন্য দুই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি নেওয়া হলেও তাঁর মাকে ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল। এমনকী প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও মেলেনি।
[আরও পড়ুন: সংসার খরচের টাকায় সন্তানের দুধ কেনার ‘শাস্তি’, তরুণীকে বিবস্ত্র করে মার শাশুড়ি ও ননদের]
এসএসকেএম (SSKM), এনআরএস, আরজি কর, মেডিক্যাল কলেজ ঘুরে শেষে এমআর বাঙুরে গিয়ে ভর্তি হতে হয়েছে ওই রোগিনীকে। মুখ্যসচিবের চেষ্টায় এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভোররাতে ওই রোগিনীকে বাঙ্গুরে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা রীতিমতো সংকটজনক। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এম আর বাঙ্গুরে আলাদা কার্ডিওলজি বিভাগই নেয়, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগিনীর সঠিক চিকিৎসা কীভাবে সম্ভব।