সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাস্তব সমস্যাগুলি সমাধান করতে কতটা প্রস্তুত তরুণ প্রজন্ম? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে ৩৬ ঘণ্টা ব্যাপী হ্যাকাথন আয়োজন করেছিল অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলজি। দেশের নানা প্রান্তের নামী প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯টি দল অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। প্রথম স্থানাধিকারী দল ৫০ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ১৮০০টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল হ্যাকাথনে অংশ নেওয়ার জন্য। সেই আবেদনগুলি খুঁটিয়ে দেখে বিশেষ বিচারকমন্ডলী। সেখানে ছিলেন আইআইটি, এনআইটি, আইআইইএসটি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত বিচারকরা। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হওয়া আবেদনগুলি অংশ নেয় হ্যাকাথনে। আটটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেগুলি হল শিক্ষা, স্বাস্থ্যসচেতনতা ও ক্রীড়া, সবুজ প্রযুক্তি, হার্ডওয়্যার, স্বাস্থ্য, ওপেন ইনোভেশন, ওয়েব ৩.০ এবং বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ।
গত ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলজির আদিসপ্তগ্রামের ক্যাম্পাসে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। ৩৬ ঘণ্টা ধরে প্রতিযোগীদের সাহায্য করেন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মেন্টররা। একের পর এক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেন প্রতিযোগীরা। এই হ্যাকাথনে শামিল হয়েছিল টাটা কনসালটেনসি সার্ভিসেসও। চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের মূল্যায়ন করেন টিসিএসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তিন সদস্যের বিচারকমন্ডলী খতিয়ে দেখেন, প্রতিযোগীরা কীভাবে সমস্যার সমাধান খুঁজেছে।
হ্যাকাথনের বিজয়ী দলের হাতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী দল যথাক্রমে ৩০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছে। অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলজির চেয়ারম্যান ট্রাস্টি অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উচিত পড়ুয়াদের বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি করা।