সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছর আগেও যে ছবি ছিল, এক বছর পরেও সেই একই ছবি। ক্যালেন্ডারের পাতা এক বছর ঘুরলেও বদলাল না ছবিটা। উইম্বলডনের সবুজ ঘাসে আলকারাজের (Carlos Alkaraz) কাছে পরাস্ত হলেন জকোভিচ (Novak Djokovic)। দিনটা তাঁর ছিল না। দেখা গেল না সেই চিরাচরিত লড়াকু জকোভিচকে। যে জকোভিচ পিছিয়ে পড়েও দারুণ লড়ে ফিনিক্স পাখির মতো প্রত্যাবর্তন ঘটান ম্যাচে, এদিন সেই জকোভিচকে খুঁজে পাওয়া গেল না। অসহায় আত্মসমর্পণই করলেন তিনি।
রবিবারের ফাইনালের শুরু থেকেই অদম্য দেখাল স্পেনীয় তারকাকে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলকারাজের ঔজ্জ্বল্যে ম্লান হয়ে থাকলেন জকোভিচ। ফাইনালে আলকারাজ জিতলেন ৬-২, ৬-২, ৭-৬ (৭-৪)। চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম পেয়ে গেলেন স্প্যানিশ তরুণ। গতবার ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াইয়ের শেষে হার মানেন জকোভিচ। এবার ফাইনাল হয় ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিটের।
[আরও পড়ুন: জয়ের ধারা অব্যাহত মহামেডানের, লিগে সাদার্নকে হারাল সাদা-কালো শিবির]
এদিন জিতলে অষ্টমবার উইম্বলডন খেতাব জিততে পারতেন জোকার। রজার ফেডেরারকেও ছুঁয়ে ফেলতেন তিনি। ধরাছোঁয়ার বাইরের এক কক্ষপথে পৌঁছে যেতেন জকোভিচ। কিন্তু ২২ বছরের আলকারাজ দেখিয়ে দিলেন জকোভিচের মতো বহু যুদ্ধের সৈনিককেও মাটি ধরানো সম্ভব। সার্বিয়ান তারকা বললেন, ''এই রেজাল্ট আমি প্রত্যাশা করিনি। তবে কৃতিত্ব কার্লোস আলকারাজেরই। ও দুর্দান্ত সার্ভিস করেছে। নেটের সামনেও ছিল দুর্দান্ত। আমি তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে খেলাটাকে আরও একটু প্রলম্বিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিনটা কার্লোসেরই। ও দুর্দান্ত খেলেছে।''
ঘাসের কোর্টের অবিসংবাদি নায়ক হওয়ার দিকেই কি এগোচ্ছেন আলকারাজ? দিনের শুরু দেখে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। পুরোপুরি বলা না গেলেও কিছুটা তো বোঝাই যায়। আলকারাজ তাঁর কেরিয়ারের গোড়াতেই জানান দিয়ে যাচ্ছেন তিনি এসেছেন 'রাজ' করার জন্যই।
এদিনের ফাইনালেও শুরু থেকেই তাঁর দাপট অব্যাহত ছিল। খেলা যত গড়াল আলকারাজের দাপট অব্যাহত থাকল। তরুণ তুর্কির তেজের কাছে থেমে গেলেন জোকার।
ব্যক্তিগত ভাবে লড়াইটা জোকারের কাছে ছিল প্রতিশোধের। গতবার স্পেনীয় তারকার কাছেই থামতে হয়েছিল তাঁকে। হাঁটুর চোটের জন্য ফরাসি ওপেনের মাঝপথে নাম তুলে নেন। এদিন হাঁটুতে স্ট্র্যাপ বেঁধে খেলতে নেমেছিলেন জকোভিচ। প্রতিশোধও নিতে পারতেন সার্বিয়ান তারকা। দেখিয়ে দিতে পারতেন গতবার যা হয়েছিল, তা অঘটন, ব্যতিক্রম। কিন্তু ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি হল উইম্বলডনের সবুজ গালচেতে। বিশ্বটেনিসে রাজত্ব করার জন্যই যে এসেছেন তিনি, দেখিয়ে দিলেন আলকারাজ।