গোবিন্দ রায়: কেষ্টকন্যার প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পাওয়ার বিরুদ্ধে যারা মামলা করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করার কথা ভেবেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সোমবার ভরা এজলাসে এমনটাই জানালেন খোদ বিচারপতি। তাঁর কথায়, “কাগজপত্র দেখেই বুঝেছিলাম আদালতকে ভুলপথে চালনা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের টেট সার্টিফিকেট নেই। স্কুলেও নাকি যান না তিনি, এই অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় সুকন্যা মণ্ডলের ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। কিন্তু সেদিন বিচারপতি শুরুতেই মামলাটি না শুনেই নিষ্পত্তি করে দেন। একাধিক মহলে গুঞ্জন শোনা যায়, সুকন্যার টেট সার্টিফিকেট ছিল। তারপর কয়েকমাস পরেই বিচারপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: ‘কাদা সরিয়ে জল স্বচ্ছ করুন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিট প্রধানকে নির্দেশ বিচারপতির]
এদিন বিচারপতি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করব ভেবেছিলাম। যেদিন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের মামলা দায়ের হয় সেদিন চেম্বারে গিয়ে কাগজপত্র দেখে বুঝেছিলাম সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল আদালতকে। পরদিন জরিমানা জারি করব ভেবেছিলাম।” এদিন অন্য একটি মামলায় মলাকারীকে জরিমানা ধার্য করতে নির্দেশ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ে সুকন্যাকে টেট এবং তাঁর চাকরির সমস্ত নথিপত্র পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেইমতো সুকন্যা এজলাসে প্রবেশ করতেই চাপা উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হয়। শেষমেষ সুকন্যাকে দেওয়া নির্দেশ প্রত্যাহার করেন বিচারপতি। অতিরিক্ত হলফনামা এদিন গ্রহণ করেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। টেট মামলায় সুকন্যা-সহ ৬ জনের হাজিরার নির্দেশ এবং টেট সার্টিফিকেট, নিয়োগপত্র পেশ করার নির্দেশ প্রত্যাহার করেন তিনি। এরপর বলেন, ”আমার শরীর ভাল না। আসতাম না। কিন্তু না আসলে অনেকে ভাবত, আমি ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছি। তাই আসলাম।”