সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ হিংস্র বিক্ষোভ দেখায় কট্টর ধর্মীয় দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তাদের তাণ্ডব থামাতে মাঠে নামে পুলিশ-সহ শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। ওই সময় সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হয়। ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় হিংসার ঘটনায় হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক-সহ ১৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের লকডাউনে বিপত্তি, দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের]
সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলিগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এস আই রফিকুল ইসলাম কালের জানান, ‘মামুনুল হক-সহ ১৭ জনকে আসামী করে ২৬ মার্চের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আরিফুজ্জামান নামে একজন এই মামলা দায়ের করেন।” এদিকে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন ওরফে ফয়েজ মারজানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলিগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার রাতে বিষয়টি জানানো হয়। সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার একটি রিসোর্টে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। তারপর ফয়েজ মারজান তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একাধিক পোস্ট দেন। ফেসবুকে ফয়েজের উগ্রপন্থী এবং দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী পোস্ট দেখে জেলা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে বহিষ্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাংগঠনিক পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।