গোবিন্দ রায়: তপন দত্ত হত্যায় (Tapan Dutta Murder Case) সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হল ডিভিশন বেঞ্চে। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা। ইতিপূর্বে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বালির পরিবেশবিদ তথা তৃণমূলকর্মীর খুনের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হল আদালতে।
২০১১ সালের ৬ মে খুন হয়েছিলেন বালির পরিবেশবিদ তথা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী তপন দত্ত। জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করায় তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই খুনে কাঠগড়ায় ওঠে তৃণমূলেরই নেতা-কর্মীরাই। খুন হওয়া তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী প্রতিমা দত্তর করা এফআইআরে নাম ছিল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ ১৩ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর। তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সিআইডি। কিন্তু ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি সুবিচার।
[আরও পড়ুন: আলবিদা…, ২৭ বছর পর চলতি মাসেই অবসর নিতে চলেছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার]
তদন্তের পর সিআইডি জানিয়েছিল, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগস্ট সিআইডি মামলার প্রথম চার্জশিট পেশ করে ৷ সিআইডির প্রথম চার্জশিটে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ একাধিক নেতার নাম ছিল। ওই বছরই ২৬ সেপ্টেম্বর সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিআইডি (CID)। কোনও কারণ না দেখিয়ে চার্জশিট থেকে ন’জনের নাম বাদ দেওয়া হয়।
পরে নিম্ন আদালত ৫ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশও দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে কলকাতা হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। অভিযুক্তরা পালটা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শীর্ষ আদালতও হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে এবং হাই কোর্টকে দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চকে একমাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ছাগলের কান দিয়ে সফল প্লাস্টিক সার্জারি! গোটা দেশে হইচই ফেলে দিলেন বাংলার ৭ গবেষক]
এর পরই এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে, তদন্তে কোথাও খামতি রয়েছে, তা ফের তদন্ত করতে পারবে তারা। এবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়েরের অনুমতি দিল ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।