সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কিশোর উপন্যাস ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’র গোবিন্দনারায়ণকে মনে আছে? তাঁর প্রিয় শখ ছিল গোপন কুঠুরিতে লোহার সিন্দুক থেকে তাড়া তাড়া লুকনো টাকা গোনা। বিহারের (Bihar) ড্রাগ ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র কুমার তেমন কিছু করতেন কিনা জানা নেই। কিন্তু তাঁর লুকনো ঐশ্বর্যের সন্ধান পেয়ে তাক লেগে গেল ভিজিল্যান্স কর্তাদের। দেখা গেল ওই সরকারি অফিসারের বাড়ির সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে টাকা আর টাকা! উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে গিয়ে কালঘাম ছোটার জোগাড়!
আগে থেকেই খবর ছিল নিয়মিত বিপুল পরিমাণে ঘুষ খান পাটনার ওই ইন্সপেক্টর। অবশেষে শনিবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারী দল। দেখা যায় বিছানার তলায় থরে থরে সাজানো রয়েছে নোটের তাড়া। ১০০ থেকে ২ হাজার টাকার নোট, রাখা ছিল বান্ডিল বান্ডিল টাকা। এই পরিমাণ নগদ অর্থ পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই অবাক হয়ে যান ভিজিল্যান্স কর্তারা। উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের আগেই নোবেল পেতে পারতেন জগদীশচন্দ্র বসু, কোন ষড়যন্ত্রের শিকার বাঙালি বিজ্ঞানী?]
এছাড়াও বেশ কিছু সম্পত্তির কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সোনা ও রুপোর গয়না। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, চারটি বিলাসবহুল গাড়িও ছিল ওই সরকারি অফিসারের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলিও। কেবল ওই অফিসার নয়, রেড করা হয় সব মিলিয়ে চারটি জায়গায়। কিন্তু বাকিদের সঙ্গে জিতেন্দ্র কুমারের ‘কালো’ সম্পত্তির পরিমাণের কোনও তুলনাই হয় না। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ইন্সপেক্টরকে। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত আছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, তদন্তকারী দলের অফিসাররা উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে গুনতে কেমন গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছেন। বিছানা ও পাশের টেবিলে স্তূপীকৃত টাকা দেখলে অবাক হতেই হয়।