রাহুল রায়: হাই কোর্টে বড় ধাক্কা ইডির। গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আরজি জানিয়েছিল ইডি। সেই আরজি খারজি করে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে কলকাতায় তাঁকে জেরা করা যাবে বলে খবর।
গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। সেদিনই দফায় দফায় জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্পত্তির হিসেবে দিতে পারেননি ধৃত। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। বক্তব্যে মিলেছে একাধিক অসংগতি। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। তারপর একাধিকবার সায়গল জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার সকালে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসানসোল জেলে যায় ইডির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁদের মধ্যে তিনজন ছিলেন দিল্লির আধিকারিক। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর সায়গলকে গ্রেপ্তার করে ইডি।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরি চোর, শিক্ষা চোর’, আদালত চত্বরে মানিককে ঘিরে স্লোগান, জুতো হাতে বিক্ষোভ BJP কর্মীদের]
গ্রেপ্তারের পরই সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। আসানসোল আদালতের বিশেষ বেঞ্চে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আরজি জানিয়েছিল ইডি। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই আদালত প্রশ্ন তোলে, কেন দিল্লি নিয়ে যেতে হবে সায়গলকে? কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদে কী সমস্যা? পরে হাই কোর্ট জানিয়েছে, আসানসোল আদালতের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হবে না। পাশাপাশি সঠিক প্রোডাকশান ওয়ারেন্ট ছাড়া দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে না। তবে দিল্লি আদালতে আবেদন করতেই পারে ইডি। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে রাজ্যে থেকে সায়গলকে জেরা করতেই পারে ইডি।