সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে রাঘব বোয়ালদের ধরতে তৎপর সিবিআই (CBI)। এবার চক্রের মূল কাণ্ডারী এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ বসিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল বারিক বিশ্বাসকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: পাখির চোখ একুশের ভোট, বাজেটে বাড়ল রাজ্যের মেট্রো এবং রেল প্রকল্পের বরাদ্দ]
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বারিক বিশ্বাসকে তলব করেছে সিবিআই। কলকাতায় তদন্তকারী সংস্থাটির দপ্তরে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বারিক বিশ্বাস। কিন্তু তার আড়ালেই তাঁর অবৈধ ব্যবসা রয়েছে। এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের অবাধ যাতায়াত ছিল তাঁর বাড়িতে। গরু পাচারের টাকার লেনদেনে জড়িত বসিরহাটের ওই ব্যবসায়ী। তাই তাঁকে জেরা করে এই চক্রে জড়িত ‘রাঘব বোয়াল’দের হদিশ পেতে মরিয়া তদন্তকারী সংস্থাটি। কার কার কাছে পাচারের টাকা যেত? কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চলত লেনদেন? বিএসএফ কর্মী থেকে শুরু করে কোন নেতা-মন্ত্রী টাকা নিয়েছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে বারিক বিশ্বাসকে জেরা করতে চায় সিবিআই।
উল্লেখ্য, বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বাড়ি ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসের। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বাস পরিবারের সঙ্গে রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। এর আগে বারিক বিশ্বাস ছিলেন বাম নেতাদের ছত্রছায়ায়। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের ক্ষমতা হারাতে দেখে বারিক শিবির বদলের পরিকল্পনা করেন। ঘনিষ্ঠতা বাড়ান তৃণমূলের সঙ্গে। পাশাপাশি চোরাই কারবারের ব্যবসা অব্যাহত রাখেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধভাবে সব বিষয়েই পাচারের অভিযোগ রয়েছে বারিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকবার তাঁকে বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্ক বিভাগ ও আয়কর দপ্তরের জেরার মুখে পড়তে হয় বলে সূত্রের খবর। এরপর ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে বারিক বিশ্বাসের ব্যবসার আরও রমরমা হয়। তাঁর ভাই গোলাম বিশ্বাস, স্ত্রী সাফিজা বিবি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে বসেন। প্রভাব বিস্তার করে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উপরেও। পাশাপাশি, বিনয় মিশ্রর সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এসব তথ্য হাতে পেয়ে কয়েকদিন আগে সিবিআইয়ের একটি দল বসিরহাটে বারিক বিশ্বাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।