সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরু পাচার মামলা নিয়ে সিবিআই (CBI) ও ইডির তদন্তের মধ্যেই কলকাতায় এসে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডঃ হাছন মাহমুদ। গরু পাচার নিয়ে কলকাতা (Kolkata) প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রী বলেন, “তদন্তের গোটা বিষয়টি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের এমন কোনও চাহিদা নেই যে বিদেশ থেকে গরু আমদানি করতে হবে। চাহিদা মেটাতে গরু উৎপাদনে অনেক আগেই আমরা স্বনির্ভর হয়েছি।”
স্বভাবতই বাংলাদেশের মন্ত্রীর এমন দাবির পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আদৌ ওপার বাংলায় গরু পাচার হতো? আর যদি হতোই, তাহলে কোথায় যেত? কারণ, ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী যখন স্পষ্টভাষায় দাবি করছেন, বিদেশ থেকে গরু আনার কোনও চাহিদাই নেই, তাহলে ভারতের কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি কতটা সঠিক? ওপার বাংলার মন্ত্রীর এমন দাবি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ”গরু পাচার হচ্ছে কোথা থেকে? বিএসএফ (BSF) তো দেখে। গরুর তো ডানা নেই। ভারত সরকারের হাতে। সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফের হাতে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার পুরোটা বুঝবে।”
[আরও পডুন: ‘জিন্দেগি তো বেওয়াফা হ্যায়…’, শোকজের জবাব দিয়েই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বড়ঞার ওসির]
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর বিএনপি (BNP)এবং তার সহযোগী মৌলবাদীরা নানা সময়ে হামলা চালায় বলে এদিন কলকাতায় স্বীকার করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছন মাহমুদ। গত বছর পুজোর সময় অষ্টমীর দিন কুমিল্লায় একটি মন্দিরে হামলার জেরে বাংলাদেশে দুর্গোৎসব (Durga Puja) প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার কড়া ব্যবস্থা নিয়ে হামলায় যুক্তদের গ্রেপ্তার করে। এদিন কলকাতায় এসে মন্ত্রী দাবি করেন, এবছর বাংলাদেশে ৩৩ হাজার দুর্গাপুজো হয়েছে। তার মধ্যে ৭০০ নতুন পুজো। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আর সেই কারণেই ৯৯ শতাংশ হিন্দু শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে ভোট দেয়। বিএনপি হল বাংলাদেশে হিন্দুবিরোধী দল।
[আরও পডুন: বিশেষ কারণে নবান্নে আসছেন না অমিত শাহ, স্থগিত পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক]
এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশের তরফে গরু পাচার নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, সে দেশে পর্যাপ্ত গবাদি পশু রয়েছে। অন্য কোথাও থেকে তা আনার প্রয়োজন নেই। ফের বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী একই দাবি করায় এই সংক্রান্ত মামলার তদন্তের মোড় কোন পথে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।