অর্ণব আইচ: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর পুলিশকে ঘটনাস্থল কর্ডন করতে দেননি প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, এমনই অভিযোগ সিবিআইয়ের। এমনকী, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বেশ কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসকরাও। তার ফলেই প্রমাণ লোপাট হয়েছে বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা জেনেও পুলিশ কেন সকালে ঘটনাস্থল কর্ডন করেনি, তা নিয়ে সন্দীপ ঘোষকে প্রশ্ন করে সিবিআই। প্রমাণ লোপাটের ব্যাপারে আরও তথ্য পেতে সিবিআই সন্দীপবাবুর আগের গাড়িটিও পরীক্ষা করে।
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের গলায় একটি ব্লু টুথ ইয়ারফোন ঝোলানো ছিল বলে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়েছে সিবিআই। পুলিশ দাবি করেছিল, সঞ্জয়ের সেই ইয়ারফোনটি তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহের কাছেই পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সেটি দেখেই সঞ্জয়কে চিহ্নিত করা হয়। চিকিৎসক-সহ যে ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, তাঁরা ওই ইয়ারফোনটি সেখানে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন কি না, তা জানতে ওই ব্যক্তিদের দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: আর জি কর মামলা LIVE Updates: হুমকি মিলছে, অভিযোগ চিকিৎসকদের, নিরাপত্তার আশ্বাস সুপ্রিম কোর্টের]
সিবিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হল তথা ঘটনাস্থল থেকে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও খুন বা অস্বাভাবিক মৃতু্যর ঘটনা সামনে এলে সাধারণত সেই জায়গাটি ঘিরে রাখে পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে এক পুলিশ আধিকারিক দেখেছিলেন, সেখানে ঘোরাঘুরি করছেন অন্তত ১৫ জন্য ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসক। সিবিআইয়ের মতে, প্রথমে সন্দীপবাবু যখন এই ঘটনাটির কথা শোনেন, তখন তিনি নিজের লোকেদের সেখানে পাঠান। অথচ পুলিশকে আদৌ কর্ডন করতে বলেননি। এই ব্যাপারে আরও তথ্য পেতে তাঁকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।