সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। বিহারের মুজফফরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। মুজফফরপুর থেকে ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে শুক্রবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। এদিন ধৃত মাস্টারমাইন্ডের ১৪দিন সিবিআই হেফাজত হয়েছে। এই নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হল। তার মধ্যে সিবিআই গ্রেপ্তার করল তিনজনকে। রাজ্য পুলিশের সিট গ্রেপ্তার করেছিল চারজনকে।
খুনের ঘটনার দিন ঝালদার বিরসা মোড়ে সিসিটিভি ফুটেজে ধৃত কলেবরের সঙ্গে মোটরবাইক চালানো হেলমেট পরিহিত যুবকই এই খুনের মাস্টারমাইন্ড বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। তার নাম শশীভূষণ সিং। তার বাড়ি বিহারের মজফফরপুর গ্রামে। এই ঘটনায় একটা লম্বা শৃঙ্খল রয়েছে। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু তার ভাইকে সরানোর জন্য ধৃত তৃণমূল নেতা ও তার বন্ধু সত্যবান প্রামানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সত্যবান যোগাযোগ করে ঝালদার কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা আসিক খানের সঙ্গে। সে যোগাযোগ করে ঝাড়খন্ডের বোকারোর কলেবরের সঙ্গে। কলেবর ধৃত মাস্টারমাইন্ড শশীভূষণ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই শশীভূষণই শুটার বোকারোর শেখ জাবিরকে নিয়ে সমগ্র ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: পুজোয় মিলবে বাড়তি পরিষেবা, একঝলকে দেখে নিন মেট্রোর সময়সূচি]
ধৃত শেখ জাবিরের সঙ্গে আরেকজন সঙ্গীর নাম জয়ন্ত ছিল বলে চাউর হয়। কিন্তু এই বিষয়টি একেবারেই ঠিক নয়। সিবিআই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে এই ঘটনার সম্পূর্ণভাবে কিনারা করে দিল। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মাস্টারমাইন্ডকে সঙ্গে নিয়ে শেখ জাবিরের সঙ্গে মুখোমুখি জেরা করবে। শেখ জাবির বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। নিহতের ভাইপো দীপক কান্দু, দাদা নরেন কান্দু, কলেবর সিং, আসিক খানকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের সিট। সত্যবান ও শেখ জাবিরকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।
এদিকে গত আগস্ট মাস থেকে এই খুনের ঘটনায় সাক্ষ্যদান চলছে পুরুলিয়া আদালতে। এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনের সাক্ষী হয়েছে। সাক্ষীর সংখ্যা ৭১ জন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যদানের দিন রয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ই মার্চ পুরুলিয়ার ঝালদা-বাঘমুণ্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে বিকেলে হাঁটতে বার হয়ে খুন হয়ে যান ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কংগ্রেস কাউন্সিলর এই তপন কান্দু।