চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: প্রায় ৭২ ঘন্টা পর সোমবার ভোর পাঁচটা পনেরো নাগাদ বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha) কে গ্রেফতার করে কলকাতা নিজাম প্যালেস নিয়ে গেলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সোমবার সকালে বড়ঞার আন্দি গ্রামের বাসভবন থেকেই গ্রেপ্তার হন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। যেখানে ৭২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলছিল সেই বাড়ি থেকেই বিধায়ককে (TMC MLA) গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল সিবিআই আধিকারিকদের একটি বিশেষ দল। পাশাপাশি অপর একটি দল এখনো পর্যন্ত বিধায়কের বাড়িতেই রয়েছে হারিয়ে যাওয়া দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধারের উদ্দেশে।
Advertisement
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট হিসাবে পরিচিত কৌশিক ঘোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, এই অভিযোগে শুক্রবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ওইদিন দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে জীবনকৃষ্ণকে টানা জেরা করে যান চার সিবিআই (CBI) আধিকারিক। সূত্রের দাবি ছিল, কৌশিককে জেরা করেই বড়ঞার বিধায়কের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারপরেই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে জেরা শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পথ কুকুরের হামলা, বৃদ্ধকে কামড়ে-খুবলে মারল সারমেয়র দল]
বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলাকালীনই নিজের দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। শুক্রবার সন্ধেবেলা বাড়ির পিছনদিকে থাকা পুকুরে ফোন দুটি ফেলে দেওয়া হয়। পুকুর ছেঁচে সেই মোবাইল উদ্ধারের কাজ শুরু করে সিবিআই। প্রায় দেড়দিন কেটে যাওয়ার পরে উদ্ধার হয় একটি মোবাইল। দ্বিতীয় মোবাইলটি এখনও উদ্ধার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে এখনও বড়ঞাতেই রয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। যদিও তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন বলেই দাবি জীবনকৃষ্ণের পরিবারের। অবশেষে সোমবার ভোর সওয়া পাঁচটা নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে কলকাতায় নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওয়ানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।