সুব্রত বিশ্বাস: করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্তে নেমে তিনজনকে আটক করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পাশাপাশি এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ ছিল, তা খতিয়ে দেখছে রেলসুরক্ষা কমিশনও।
সিবিআই দফায় দফায় স্টেশনে ও রিলে রুম-সহ একাধিক বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গোপন সাক্ষ্য নিতে সোমবার তিন কর্মচারিকে আটক করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনজনের মধ্যে একজন স্টেশনের কর্তব্যরত মাস্টার, একজন টেকনিক্যাল ও একজন নন টেকনিক্যালে কর্মী বলে জানা গিয়েছে। আগেই তদন্তের জন্য একাধিক রেলকর্মীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁদের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার দিনের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, ইন্টারনেট সার্চ হিস্ট্রিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার? উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে প্রার্থীকে, নয়া নির্দেশ কমিশনের]
তদন্তের খাতিরেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লোকো পাইলটদের ও গার্ডের শারীরিক উন্নতি হওয়ায় তাদের বয়ান নিয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। রেলের সেফটি কমিশনারের সঙ্গে সাজুজ্যতা রেখেই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। দুই এজেন্সিই তদন্ত রিপোর্টে সমতা রাখতে একে অপরের সঙ্গে তদন্তের গতি প্রকৃতিতে নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ২ জুন ওড়িশার বাহানাগা বাজার স্টেশনের (Bahanaga Bazar Station) কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১২০০-র বেশি। বাহানাগা বাজারের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় খড়গপুর-ভদ্রক শাখা এখনও ট্রেন চলাচলের উপযুক্ত হয়নি। মঙ্গলবারও বাতিল করা হয়েছে ৬৬টি ট্রেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে এখনও আরও দশ দিনের মতো সময় লাগবে বলে অনুমান করেছেন ওই রেলের অপারেশন বিভাগের আধিকারিকরা। তাদের কথায়, নন ইন্টারলক পয়েন্ট লাগানো হয় সুরক্ষাবিধি মেনে। ফলে তা সময় সাপেক্ষ যেমন, তেমনই সিবিআই তদন্তের জন্য প্যানেল রুম থেকে নানা সামগ্রীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে যতদিন না তদন্ত শেষ হয় ততদিন। ফলে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিকতা। এখন চলাচলকারী ট্রেনগুলির শম্বুক গতি। যা অন্য ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ বলে জানা গিয়েছে।