অর্ণব আইচ: গরু পাচার কাণ্ডে আরও লটারির যোগ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। এনিয়ে ৬ নং লটারির (Lottery) সন্ধান মিলল। এর আগে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে ধৃত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে লটারির মোটা অঙ্কের পুরস্কার জেতার প্রমাণ পেয়েছিলেন সিবিআই তদন্তকারীরা। এবার তাঁদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, এই মামলায় প্রথমদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যবসায়ী এনামুল হকও (Enamul Hoque) লটারির পুরস্কার বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন! তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তা আরও ভাল করে খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হক ৫০ লক্ষ টাকার লটারি জিতেছিল। সেসময় সে সীমান্তে গরু পাচারে (Cattle Smuggling Case) যথেষ্ট হাত পাকিয়েছে। ফলে সেই পাচারের টাকা লটারির মাধ্যমে এনামুলের হাতে এসেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এই কাজে ইডিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই মামলায় এনামুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ঘাঁটতে গিয়েই লটারির বিষয়টি নজরে আসে তদন্তকারীদের। ৫০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল তার অ্যাকাউন্টে, যে টাকা সে লটারির পুরস্কার বাবদ পেয়েছিল। গরু পাচার মামলায় এর আগে মোট ৫টি লটারির সন্ধান মিলেছিল। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় কয়েক লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। এবার সেই তালিকায় যোগ হল এনামুল হকের নামও।
[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডের জেরে সকালেও আতঙ্ক এসএসকেএমে, ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ মুখ্যসচিবের]
সিবিআই সূত্রে আরও খবর, সায়গল হোসেন অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী, যিনি আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেলবন্দি, তার অ্যাকাউন্টেও ৫৫ লক্ষ টাকার একটি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যা সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই লেনদেন কীসের, তা বিশদে জানতে ইডির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এও কোনও লটারির পুরস্কার জেতার টাকা কি না, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। তবে যেভাবে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লক্ষ, কোটি টাকা লটারির পুরস্কার জেতার হদিশ মিলছে, তাতে তদন্তকারীদের বদ্ধমূল ধারণা, গরু পাচারের টাকাই এভাবে ঘুরপথে তাদের অ্যাকাউন্ট ভরিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের বাড়ল ED শীর্ষকর্তার মেয়াদ, বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে মামলার ধারাবাহিকতা রাখতেই সিদ্ধান্ত?]
এদিকে, একই মামলায় সিবিআইয়ের পর বৃহস্পতিবার ইডির (ED) হাতেও গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ তাঁকে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হবে। ইডি দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁকে জেরার আবেদন করতে পারে আদালতে। তা মঞ্জুর হলে তিহার জেলে বন্দি তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার সম্ভাবনা।