নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবার অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল সিবিআই। সিউড়ির সমবায় ব্যাংকে বেনামি অ্যাকাউন্টের তদন্তে নেমে এই প্রথম কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতর পরিচারক বিজয় রজকের নামে খোলা অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকা রয়েছে, যা তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে মনে করছে সিবিআই। এত টাকার উৎস কী, ওই টাকা কে রাখল, সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে গত সপ্তাহে আসানসোল সংশোধনাগারে প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। গত মাসের শুরুতেই গরু পাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে উঠে আসে সিউড়ির সমবায় ব্যাংকের নাম। ৫ জানুয়ারি সিউড়ির ওই সমবায় ব্যাংকে হানা দেয় সিবিআই। সিউড়ি শাখা-সহ বীরভূম জেলার একাধিক সমবায় ব্যাংক থেকে বেশ কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সন্ধান পায় সিবিআই। ব্যাংক ম্যানেজারকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
[আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রার পারদ কি নামবে?]
সব মিলিয়ে সমবায় ব্যাংকে ৩৩০ টিরও বেশি বেনামি অ্যাকাউন্ট খুলে কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য নিজে অ্যাকাউন্টগুলির নথি খতিয়ে দেখেছেন। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির তথ্য জানতে প্রয়োজনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্টের মতামত নেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বাড়িতে পরিচারক হিসাবে কাজ করতেন বিজয় রজক। অন্যদিকে লাভপুর শম্ভুনাথ কলেজের অস্থায়ী কর্মীও ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার সিবিআই আধিকারিকরা রতনপল্লির অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। পরবর্তীতে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সিউড়ি ও অবিনাশপুর শাখায় ১৫ লক্ষ টাকা ফ্রিজ করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সিবিআইয়ের তরফে কেস নম্বর দিয়ে নোটিস ধরিয়ে ব্যাংককে জানানো হয়, বিজয় রজকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হল। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও লেনদেন যাতে না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। অ্যাকাউন্টের সব লেনদেন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।