সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থার অন্তর্কলহ ক্রমশ আকারে বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর এবার আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে গেল ঝামেলা।গত কয়েকদিন ধরেই সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা এবং ডেপুটি ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ তুলেছেন সিবিআইয়ের শীর্ষস্থানীয় দুই কর্তাই। এবার দুই কর্তাই একে অপরের বিরুদ্ধে দ্বারস্থ হলেন আদালতের। এর আগে তেলেঙ্গানার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মোদি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আস্তানার বিরুদ্ধে এফাআইআর দায়ের করে অলোক ভার্মা শিবির। তল্লাশি চালানো হয় সিবিআইয়েরই সদর দপ্তরে। গ্রেপ্তার করা হয় আস্তানা ঘনিষ্ঠ অফিসার দেবেন্দ্র কুমারকে। তাঁকে দশদিনের হেফাজতে চায় সিবিআই। এদিন পালটা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে আস্তানা শিবির।তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি করেছেন সিবিআইয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড।এই দাবি করে মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর।তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করা হয় সেজন্যও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।সেই আবেদনে সাড়াও মিলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবরের আগে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
[ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সিবিআই সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে, তুঙ্গে টানাপোড়েন]
এদিকে ইতিমধ্যেই নিজের অধঃস্তন কর্মচারীকে সাসপেন্ড করতে উদ্যত হয়েছেন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা। ইতিমধ্যেই নাকি তাঁকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এর আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী সিবিআইয়ের শীর্ষ দুই আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই আস্তানাকে সাসপেন্ড করতে উদ্যত হন অলোক ভার্মা। গ্রেপ্তার করা হয় দেবেন্দ্র কুমারকে। দেবেন্দ্রকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আবেদন করে ফেলেছেন দেবেন্দ্র।
[মোদি জমানায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে কোটিপতির সংখ্যা, বাড়ছে করদাতার সংখ্যাও]
সিবিআইয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড আস্তানার বিরুদ্ধে তেলেঙ্গানার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সিবিআইয়ের মধ্যে রীতিমতো গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এই অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে আবার পালটা অভিযোগ আনেন আস্তানা। তাঁর বিরুদ্ধেও ওঠে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ পালটা অভিযোগের এই ঝামেলার জেরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে সিবিআইয়ের ভাবমূর্তি নিয়েই।