সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ নতুন নয়, এবার ঘুষ কাণ্ডেও শিরোনামে উঠে এল এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মধ্যপ্রদেশে এক দুর্নীতি মামলার তদন্তে বিপুল টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করল নিজেরই দপ্তরের এক সিবিআই আধিকারিককে। পাশাপাশি এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ১২ জনকে।
মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এক নার্সিং কলেজে বড়সড় দুর্নীতির তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছিল বিশেষ দল। অভিযোগ, এই তদন্তকারী দলের বিপুল টাকার বিনিময়ে ওই নার্সিং কলেজের পক্ষে রিপোর্ট পেশ করেন। গুরুতর এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআইয়ের ভিজিল্যান্স টিম। এবং বিপুল টাকা-সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় রাহুল রাজ নামে এক সিবিআই আধিকারিককে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় আরও ১২ জনকে। পাশাপাশি আরও ৩ সিবিআই আধিকারিক-সহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সোমবার এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘মাই-বাপ’ তত্ত্বে বাজিমাত তেজস্বীর! বিহারে মোদির জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং INDIA?]
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, গত শনিবার ইন্সপেক্টর রাহুল রাজ নার্সিং কলেজের সঙ্গে যুক্ত অনিল রাজ ও তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এর পাশাপাশি এই মামলার তদন্তে নেমে নয়াদিল্লির সিবিআই আধিকারিকদের দল ভোপাল, ইন্দোর, জয়পুর-সহ মধ্যপ্রদেশের ৩১ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সেখানে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা, ৪টি সোনার বিস্কুট, ৩৬টি ডিজিটাল ডিভাইস এবং ১৫০-র বেশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: শ্রীজগন্নাথ মোদির ভক্ত! বিজেপি মুখপাত্রের মন্তব্যে বিতর্ক, ‘মুখ ফসকে…’, সাফাই সম্বিতের]
এদিকে দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের এমন কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবে শোরগোল শুরু হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘুষকাণ্ডে টলারেন্স নীতি নিয়েছে সিবিআই। আধিকারিকরা সংস্থার মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত হলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।