সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের খাতিরে কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করতে গিয়ে বাধা পেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। রবিবার রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাংলোয় বিকেলে এসে পৌঁছায় সিবিআই ৫-৬ জনের তদন্তকারী দল। এই খবর পাওয়া মাত্র সেখানে এসে হাজির হন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা-সহ শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশকর্মীরা। তাঁরা সিবিআই আধিকারিকদের বাধা দেন বাংলোয় ঢুকতে। এরপর সিবিআই আধিকারিকদের শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বসে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে এখনও পর্যন্ত পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে, জানা গিয়েছে, কমিশনারের বাড়িতে বিনা অনুমতিতে প্রবেশের জন্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দপ্তরে পৌঁছেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। একইসঙ্গে, কমিশনারের বাড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি গোটা ঘটনায়। শেষপর্যন্ত জানা যায়, রাতের দিকে সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই এই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
কেন এদিন কমিশনারের বাংলোয় গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা? আর কেনই বা পুলিশ তাঁদের বাধা দিল? পুলিশের বক্তব্য, জেরা করার জন্য আদালতের অনুমতি ছাড়া নগরপালের বাংলোয় ঢোকা যাবে না। সেই নিয়ে বাদানুবাদ হয় দুপক্ষের মধ্যে। সিবিআই আধিকারিকদের পালটা বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই সমস্ত চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছেন তাঁরা। এর আগে চার-পাঁচবার রাজীব কুমারকে সিবিআই দপ্তরে আসার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল বলে তাঁদের দাবি। কিন্তু রাজীব কুমার আসেননি। তাই এদিন তাঁর বাংলোয় সিবিআই আধিকারিকরা আসেন। কিন্তু পুলিশের দাবি, কমিশনারকে জেরার করার জন্য কোনও নথি নাকি দেখাতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদ-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা।
[আবেগের টানে অসুস্থ শরীরেই ব্রিগেডে বুদ্ধদেব, উঠলেন না মঞ্চে]
প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলেই কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জাভেদ শামিম একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সারদা, রোজভ্যালি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই জেরা করতে পারে রাজীব কুমারকে। এমনই একটি খবর বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এমনও খবর হয় যে, কমিশনার লালবাজারে আসছেন না। তিনি পলাতক। এদিন জাভিদ শামিম সাংবাদিকদের জানান, এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। একদিনের জন্য ছুটিতে ছিলেন কমিশনার। তাই তিনি লালবাজারে আসেননি। তারপরেই সিবিআই আধিকারিকরা কমিশনারের বাংলোয় পৌঁছতে বিতর্ক দানা বাঁধে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, সিবিআই আধিকারিকদের গাড়িতে করে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ছবি ও ভিডিও: অরিজিৎ সাহা