সুব্রত বিশ্বাস: গরুপাচার কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের (CBI) জেরার মুখে দুই পুলিশকর্মী। সোমবার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল ঘনিষ্ঠ দু’জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মালদহ (Maldah) সাব ডিভিশনের পুলিশের এক এএআই ও এক কনস্টেবলকে এদিন তলব করা হয়েছিল। দপ্তরে তারা হাজিরা দিলে শুরু হয় জেরা পর্ব। তাঁদের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে একবার তলব করা হয়েছিল এই দুই পুলিশকর্মীকে (police)। নোটিস পেয়েও তাঁরা সিবিআই দপ্তরে হাজির হননি বলে জানা গিয়েছে। তবে ফের তলব করা হলে তাঁরা রবিবার হাজিরা দেন। সোমবার তাঁদের দীর্ঘক্ষণ জেরা করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআই। গরুপাচারে ধৃত এনামুলকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার মধ্যেই তার ঘনিষ্ঠ দুই পুলিশ কর্মীকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রথম পুলিশ কর্মীদের জেরা করা হল গরুপাচার কাণ্ডে। পরবর্তী পর্যায়ে আরও অনেককেই সিবিআই ডেকে পাঠাতে পারে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘নন্দীগ্রামে গেলেই মুশকিল তা বুঝে গিয়েছেন’, সভা স্থগিত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলীপের]
অন্যদিকে, কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়াকে দ্বিতীয়বার নোটিস পাঠাল সিবিআই। এর আগে এই গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙ্গুর অ্যাভিনিউর (Bangur Avenue) ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তল্লাশি। এরপর কলকাতায় তাঁর অফিসেও চলে অভিযান।
প্রথমবার বাগাড়িয়াকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় ফের তলব করা হল। শিগগিরই তাঁকে যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে হাজির হতে হবে সিবিআই আধিকারিকদের সামনে। বছরশেষে এভাবেই গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের জট খুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।