অর্ণব আইচ: লোকসভা ভোটের মুখে ফের তৎপর সিবিআই। শনিবার আলিপুরে একটি ফ্ল্যাটে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, ওই ফ্ল্যাটটির মালিক ডি এল মৈত্র। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। সম্পর্কে কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ তথা লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বাবা। এদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের তদন্তে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবার আলিপুরের 'রত্নাবলী' নামে এক আবাসনে যায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা আবাসন ঘিরে ফেলে। ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন মহুয়া মৈত্রর বাবা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় চারঘণ্টা ধরে চলছে জোর তল্লাশি। কী কারণে তল্লাশি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে তদন্তভার নেওয়ার পরই তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: লাল ট্রলিব্যাগ চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত! চেন খুলতেই বেরিয়ে এল দেহ]
উল্লেখ্য, মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে প্রথম টাকার বদলে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনিই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি লেখেন। লোকপালকেও চিঠি লেখেন তিনিই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। দুবের অভিযোগের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত সাংসদ পদ হারান তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী। মহুয়ার বিরুদ্ধে ইডি আগে থেকেই তদন্ত করছে।
বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ মার্চ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের ভার দেন লোকপাল। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিবিআইকে এই মামলায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন লোকপাল। সেই নির্দেশ মতো দুর্নীতি দমন আইনেই বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। আর তার পরই তল্লাশি বলেই মনে করা হচ্ছে। সুতরাং লোকসভা ভোটের মুখে সাঁড়াশি চাপে তৃণমূল প্রার্থী।