সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বিধানসভায় যেদিন শক্তিপরীক্ষা, ঠিক সেদিনই একপ্রকার হঠাৎ পুরনো মামলায় সক্রিয় হয়ে উঠল সিবিআই (CBI)। ইউপিএ জমানায় জমির বদলে চাকরি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল সেই মামলায় এদিন সকাল থেকে আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই।
এদিন সকাল থেকে বিহার, দিল্লি, এবং হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্তের ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিহারের পাটনা, কাটিহার এবং মধুবনীতে একাধিক হাই প্রোফাইল আরজেডি নেতার বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুনীল সিং, সুবোধ রাই, ডঃ ফৈয়াজ আহমেদ এবং আশফাক করিম। এদিন সকাল থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও আস্থাভোটের আগে এই তল্লাশি অভিযান বিহারের নবগঠিত মহাজোট সরকারের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে ধরা পড়ে স্ত্রীর হাতে জুতোপেটা, দল থেকে বহিষ্কৃত যোগীরাজ্যের বিজেপি নেতা]
উল্লেখ্য, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিলেন লালু (Lalu Prasad Yadav)। একাধিক পদে অর্থ বা জমির বিনিময়ে নিয়োগ করার অভিযোগ ছিল লালুর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তাঁর মেয়ে এবং একাধিক ঘনিষ্ঠ নেতা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলার তদন্তেই এদিন সকাল থেকে তল্লাশি শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যদিও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর (Rabri Devi) বক্তব্য,”ওরা ভয় পেয়েছে। নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। বিজেপি ছাড়া সব দল আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। আমরা ভয় পাব না। এটা তো আর প্রথমবার হচ্ছে না।” উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবেরও একই বক্তব্য। তিনিও বলছেন,”আমরা ভয় পাই না। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সবকিছুর জবাব দেব।”
[আরও পড়ুন: দলের আস্থা হারিয়েছেন, ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারিত সুবল ভৌমিক]
এদিকে বিধানসভাতেও শুরু হয়েছে ‘নাটক’। আস্থাভোটের ঠিক আগে পদত্যাগ করেছেন আগের সরকারের স্পিকার বিজয় কুমার সিং। বিজেপির এই নেতা জেডিইউ (JDU) এবং বিজেপি (BJP) জোট সরকারে স্পিকার ছিলেন। কিন্তু নীতীশ শিবির বদল করলেও তিনি ইস্তফা দিতে রাজি ছিলেন না। বাধ্য হয়ে মহাজোট সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। এদিন আস্থা ভোটের আগে সেই অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি না হয়েই পদত্যাগ করেছেন বিজয় চৌধুরী।