নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বোলপুরের বাড়িতে সিবিআই হানা। কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে আজই জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিবিআইয়ের তরফে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তদন্তকারীদের মধ্যে রয়েছেন মহিলারাও।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিন সিবিআই আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা। বেলা ১২ টার খানিকটা পরে অনুব্রতের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। শোনা যাচ্ছিল, আজই সুকন্যাকে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের। তাঁর নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। রেকর্ড করা হবে সুকন্যার বয়ানও। প্রায় একঘণ্টা দশ মিনিট সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতর বাড়ি থেকে বের হন আধিকারিকরা। গিয়েছেন পোস্ট অফিসে।
[আরও পড়ুন: ৩০ টাকার লটারি কাটতেই ভাগ্যবদল, কোটি টাকা পুরস্কার জিতে ‘হিরো’ ভাতারের রাজমিস্ত্রি]
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পর ১৭ আগস্ট ফের তাঁর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কারণ, অনুব্রতর সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি করতেই উঠে আসে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নাম। তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি ও কোম্পানির হদিশ মেলে। পেশায় শিক্ষিকা সুকন্যার এত সম্পত্তি এল কোথা থেকে, তা জানতে তাঁকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজি হননি সুকন্যা। তিনি জানান, “বাবা হেফাজতে রয়েছেন, সদ্যই মাকে হারিয়েছি। তাই এখন কোনও কথা বলব না।” সেই কারণে ১০ মিনিটের মধ্যেই মণ্ডল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। তারপর প্রায় একমাস পেরিয়েছে। গরুপাচার কাণ্ডে আরও বহু নথি হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে রয়েছেন আসানসোলের জেলে।