অর্ণব দাস, বারাকপুর: মহালয়ার দিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে হাজির সিবিআই। প্রায় একঘণ্টা চলে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ। দুপুর একটা নাগাদ সিবিআইয়ের দল বেরিয়ে গেলেন।
বুধবার সকাল ১২টা নাগাদ সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে একজন মহিলা-সহ ৩ সদস্যের সিবিআইয়ের একটি দল নির্যাতিতার বাড়িতে ঢোকেন। সূত্রের দাবি, নির্যাতিতার ঘরে তল্লাশি চলে। জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় পরিবার ও প্রতিবেশীদের। তার পর দুপুর একটা নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যায়।
আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যে একাধিকবার নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর আগে পানিহাটির বাড়িতে পৌঁছন ২ সিবিআই অফিসার। নির্যাতিতার মা, বাবা ও কাকিমাকে নিয়ে তাঁরা আর জি করের যান। সেখানে যে হস্টেলে থাকতেন ‘অভয়া’, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় মা-বাবাকে। এর পর সুপারের ঘরে তাঁদের বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করানো হয়। এর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা অভিভাবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। এদিন ফের নির্যাতিতার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে। নৃশংস এই ঘটনার প্রতিবাদের ঢেউ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশে, এমনকী বিদেশেও আছড়ে পড়েছে। এই ঘৃণ্য ঘটনার কথা যাতে কেউ ভুলে না যায়, সেজন্যই আর জি কর চত্বরে অভয়ার মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময় যে নির্মম অত্যাচারের শিকার ওই চিকিৎসক হয়েছেন, সেটাই তাঁর তৈরি আবক্ষ ‘অভয়া’ মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহলয়ার সকালে এই মূর্তির উন্মোচন হয়।