সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশি সেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফ্যামের (Oxfam) বিরুদ্ধে এবার এফআইআর দায়ের করে তাদের দিল্লির অফিসে তল্লাশি শুরু করল সিবিআই। অক্সফ্যামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বিদেশি তহবিল আইন লঙ্ঘন করছে। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্ত করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অভিযোগ, ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যামেন্ডমেন্ট আইন ২০২০ (FCRA 2020) লাগু হওয়ার পরও অক্সফ্যাম ভারত বহু জায়গায় বিদেশি অর্থ পাঠিয়েছে, যা বেআইনি বলে দাবি কেন্দ্রের। ২০২১’র মার্চেই অক্সফ্যামের এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যার ফলে অক্স্যফামের বিদেশি তহবিল আদান প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অন্য মাধ্যমে অক্সফ্যাম বিদেশি তহবিল জোগাড় করছে বলে অভিযোগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অক্সফ্যামের দিল্লি অফিসে গত সেপ্টেম্বরে তল্লাশি অভিযানও চালিয়েছিল আয়কর দফতর।
[আরও পড়ুন: হনুমানের আদর্শেই অনুপ্রাণিত বিজেপি”, হনুমান জয়ন্তীতে এক সুর মোদি ও জয়শংকরের]
অক্সফ্যাম শুধু যে FCRA ভঙ্গ করেছে তাই নয়। ওই আইন লাগু হওয়ার আগেও বিদেশি তহবিলের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নিজেদের সরকারি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বদলে অন্য অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা বিদেশি অনুদান নিয়েছে সংস্থাটি। সেই অভিযোগেও সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, অক্সফ্যাম তাদের বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স ফিরে পাওয়ার জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। ঠিক তার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল সংস্থা।
[আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ কোটির বাজেট পাশ মাত্র ১২ মিনিটে! ‘অকেজো’ সংসদ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ খাড়গের]
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে সিবিআইয়ের অক্সফ্যাম প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, দেশের ৪০ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তিদের হাতে। দেশের আর্থিক বৈষম্য কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, তার প্রকৃষ্ট নিদর্শন এই সমীক্ষার রিপোর্ট। নয়া সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছিল, ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানির আয়ের উপর এককালীন কর বসালেই প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। সমালোচকদের অভিযোগ, সেই রিপোর্টের পরই কেন্দ্রের নজরে অক্সফ্যাম।