সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) বিটকয়েন কেলেঙ্কারির (Bitcoin Scam) তদন্তে ভারতে আসেনি মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের (FBI) কোনও দল। রবিবার জানিয়ে দিল সিবিআই (CBI)। সম্প্রতি কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়াঙ্ক খাড়গে (Priyank Kharge) দাবি করেন, কর্ণাটক পুলিশের সঙ্গে বিটকয়েন কেলেঙ্কারির তদন্তে ভারতে এসেছে এফবিআই। এদিন সেই দাবি উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই বিষয়ে রীতিমতো বিবৃতি জারি করে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দেয় সিবিআই। নিজেদের বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, “এফবিআই এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ভারতে কোনও দল পাঠায়নি। বা এই মামলার তদন্ত পরিচালনার জন্য মার্কিন তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে কোনও অনুরোধও করেনি।” সিবিআইয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সিবিআই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সমন্বয় রেখে চলে।”
[আরও পড়ুন: রামনবমীতে সিপিএম পলিটব্যুরোয় রামচন্দ্রের আবির্ভাব! ‘ঐতিহাসিক’, প্রতিক্রিয়া দলিত নেতার]
উল্লেখ্য, সিবিআই এই বিবৃতি জারি করে কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়াঙ্ক খাড়গের এফবিআই সংক্রান্ত মন্তব্যের পর। তিনি দাবি করেছিলেন, বিটকয়েন কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমেছে এফবিআই। যার পর ভয়ে রয়েছে কর্ণাটকের বিজেপি নেতারা। এমনকী চিন্তিত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবারাজ এস বোম্বাই (Basavaraj S Bommai)। উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কের অভিযোগের পরে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজওয়ালাও এই বিষয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) জবাবদিহি চায়। যদিও যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিল সিবিআই।
এদিকে গোটা ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠছে শ্রীকৃষ্ণ রমেশের। ২০২০ সালে যাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কর্ণাটক পুলিশের দাবি, রমেশ একজন হ্যাকার। একাধিক সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সে। জানা গিয়েছে, রমেশ ইতিমধ্যে বিটকয়েন কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি সরকারি পোর্টাল হ্যাক করেছিল বলেও জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘মাকে বলে বাড়ি ছেড়েছিলাম’, রাজনীতি থেকে বিদায়বেলায় স্মৃতিকাতর বিমান বসু]
আপাতত এফবিআইয়ের ভারতে আসার দাবি সিবিআই উড়িয়ে দিলেও বিটকয়েন কেলেঙ্কারিতে কর্ণাটকের বিজেপি সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত বহু বিজেপি নেতা-মন্ত্রী। বিরোধীদের সবচেয়ে বেশি আক্রমণের মুখে পড়ছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।