অর্ণব আইচ: তদন্তের স্বার্থে তৎপরতা নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? শাহী সভার পরদিনই সিবিআই তল্লাশিতে চক্রান্তের অভিযোগ তৃণমূলের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শাহী সভার পরদিনই ফের তৎপর সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কোমর বেঁধে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্ক্যানারে তৃণমূল বিধায়ক এবং দুই কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি। এছাড়া, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়ঞা থানা এলাকাতেও হানা দেয় সিবিআই। কুলি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক ঝন্টু শেখের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ও ২ কাউন্সিলরের বাড়িতে CBI, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জোর তল্লাশি]
সিবিআই হানা দেয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর পাটুলির বাড়িতে। বিধানগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর জ্যাংরার বাড়িতে সিবিআই হানা। নাগেরবাজারের শ্যামনগরের আবাসনেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে রয়েছে দেবরাজের স্ত্রী বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্টুডিও।
কলকাতার পাশাপাশি কোচবিহারে একটি বিএড কলেজে এবং ওই কলেজ মালিকের আত্মীয়ের বাড়িতেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারের মোট ৮ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি নিয়ে ক্ষুব্ধ ফিরহাদ হাকিম। বলেন, “কাল রাজ্যে অমিত শাহ এসেছিলেন। আজ সক্রিয় সিবিআই। বোঝাই যাচ্ছে এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি।” উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে ঘাসফুল শিবির।