shono
Advertisement

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: OMR শিট অয়ন শীলের সংস্থার কাছে, CBI-কে জানাল টিটাগড় পুরসভা

নিয়োগ দুর্নীতির কিনারা করতে OMR শিট চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Posted: 08:00 PM Sep 22, 2023Updated: 08:00 PM Sep 22, 2023

অর্ণব দাস, বারাকপুর: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভায় তদন্ত করেছে সিবিআই (CBI)। পাশাপাশি ইডির তরফেও এই পুরসভাগুলিতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বরানগর এবং কামারহাটি পুরসভার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের দপ্তর নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তারই মধ্যে টিটাগড় পুরসভায় (Titagarh Municipality) নিয়োগের তদন্তে সিবিআইয়ের তরফে ওএমআর শিট চেয়ে পাঠানোর ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্র জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে এই পুরসভায় পরীক্ষা নেওয়ার পর ২০১৯ সালে ২২০জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এনিয়ে চুঁচুড়ার বাসিন্দা এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, দাবিমতো টাকা দিতে না পারার কারণেই প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি টিটাগড় পুরসভায় চাকরি (Job) পাননি। এই নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল।

[আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’-এ কম গুরুত্ব পাওয়ায় ক্ষুব্ধ নয়নতারা! বিতর্কে ‘মৌনব্রত’ ভাঙলেন খোদ শাহরুখ]

এর পর ফের এই পুরসভার কাছে নিয়োগের ওএমআর শিট (OMR Sheet) চেয়ে পাঠানোর ঘটনায় নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ জানান, ”আমাদের কাছে কোন ওএমআর সিট নেই। অয়ন শীলের (Ayan Sil)সংস্থা পরীক্ষা নিয়েছিল। তারা ওএমআর শিট নিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি আমরা সিবিআইকে বিস্তারিত জানিয়ে দেব। এর আগে তদন্তকারী সংস্থা যা তথ্য চেয়েছে সবই দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও তদন্তে সহযোগিতা করা হবে।”

[আরও পড়ুন: কত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে? সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল মণিপুর সরকারের]

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই কামারহাটি পুরসভার ৩৩জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর তলব করা হয়েছে বরানগর পুরসভা ৩২ জন কর্মীকে। ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন বরানগর পুরসভার চারজন করে কর্মচারী সিবিআই দপ্তরে গিয়ে হাজিরা দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। আরও কর্মীকে ডাকা হতে পারে, এই আতঙ্কে এখন দৈনন্দিন কাজ ছাড়া পুরসভার অন্যান্য কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের মিটিং যেখানে প্রতি সপ্তাহে হত তা এখন মাসে একদিন হচ্ছে। বোর্ড মিটিংও অনিয়মিত হচ্ছে বলেই খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement